নয়াদিল্লি: এবার প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের (Protesting Wrestler) পাশে দাঁড়াতে দিল্লির যন্তর মন্তরে পৌঁছনোর ডাক দিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা (SKM)। ফলে রবিবার যন্তর মন্তরে হাজার হাজার কৃষকের সমাবেশ হতে চলেছে বলে ধারণা প্রশাসনের। এর মধ্য়েই 'ভারতীয় কিসান মোর্চা উগ্রহন'-র নেতারা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন। জাতীয় কুস্তি সংস্থার (WFI) প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের (Brij Bhushan Singh) গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলন করছেন জাতীয় স্তরের কুস্তিগিররা। তাঁর বিরুদ্ধে মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। এবার একই দাবিতে সুর মেলালেন কৃষকদের বড় অংশ। সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্য়েই নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। তৈরি হয়েছে রায়ট-কন্ট্রোল টিমও।


কী ছবি?
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত এর মধ্যেই যন্তর মন্তরে পৌঁছেছেন। WFI-র প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারির দাবিতে সুর চড়িয়েছেন তিনিও। হান্নান মোল্লা, দর্শন পালের মতো নেতারাও এই মুহূর্তে যন্তর মন্তরের প্রতিবাদস্থলে হাজির হয়েছেন। কৃষক নেতাদের ঘোষণা, মোদি-সরকার ও ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের কুশপুতুল পোড়ানো হবে। এদিন রাজধানীর এই প্রতিবাদস্থলে যে মহা পঞ্চায়েত হওয়ার কথা, সেখানেও চৌধরি সরেন্দর সোলাঙ্কি নামে এক খাপ পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, 'বাচ্চাগুলি (প্রতিবাদী কুস্তিগির) যতক্ষণ না পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে। তবে এর পর কোন পথে প্রতিবাদ হবে, সেটি আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' কৃষকদের এই জমায়েত উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকেই দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় ট্র্যাফিক জ্যাম শুরু হয়ে যায়। কৃষকরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আপাতত একদিনের জন্য প্রতিবাদ করলেও সরকার কী পদক্ষেপ করছে তার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে এর মধ্যেই প্রতিবাদীদের অন্যতম, বজরং পুনিয়া এদিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দেশজুড়ে মোমবাতি মিছিলের আর্জি জানিয়েছেন। 


প্রতিক্রিয়া অভিযুক্তের...
যাঁকে নিয়ে এত তোলপাড়, সেই ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ কোনও অভিযোগ মানতে রাজি নন। বরং তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, একটা অভিযোগও প্রমাণ হলে গলায় দড়ি দেবেন। প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ সিংহয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন সাত মহিলা কুস্তিগীর। তার প্রেক্ষিতেই দিল্লি পুলিশের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয় যে তাঁরা এফআইয়ার দায়ের করার জন্য প্রস্তুত। বারবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে এসেছিলেন ফেডারেশনের ৭ জন মহিলা কুস্তিগীর। অভিযোগ, তাতে প্রাথমিকভাবে কর্ণপাত করেন পুলিশ। তবে পরে নত হতে হয় তাদের।


আরও পড়ুন:যৎসামান্য কাপড়চোপড়, এক জোড়া জুতো, ভাবনারও অতীত রবি ঠাকুরের ছেলেবেলার এই গল্প