মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে মানসিক চাপ দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ যেসব বলিউডি প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে উঠেছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় লীলা বনশালী। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও হয়েছে। কিন্তু এক সূত্র থেকে দাবি উঠেছে, সঞ্জয় নাকি সুশান্তকে খুবই পছন্দ করতেন, এক সঙ্গে ৪টি ছবি করার কথা ছিল তাঁদের।


সুশান্তকে আত্মহত্যার মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে সলমন খান, একতা কপূর, কর্ণ জোহর ও সঞ্জয় লীলা বনশালীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। বনশালীর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তিনি সুশান্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন, ইচ্ছে করে পিছিয়ে দেন তাঁর ছবি মুক্তি। যদিও একটি সূত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, সুশান্ত ও বনশালীর এক সঙ্গে চারটি ছবি করার কথা ছিল। কিন্তু বনশালীর দিক থেকে প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও তারিখ সংক্রান্ত সমস্যায় তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারেননি।

বনশালীর পদ্মাবত ছবি শ্যুটিংয়ের সময় জয়পুরে একটি গোষ্ঠী অশান্তি করায় প্রতিবাদ হিসেবে নিজের নাম থেকে রাজপুত সরিয়ে ফেলেছিলেন সুশান্ত। সে কথা উল্লেখ করে সূত্রটি দাবি করেছে,এতেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক কতটা মজবুত ছিল।

ওই সূত্রের দাবি, শুধু বনশালী নন, একতা কপূরের সঙ্গেও সুশান্তের যথেষ্ট মধুর সম্পর্ক ছিল। একতা শুধু তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন না, তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। বহুবার তিনি সুশান্তের প্রশংসা করেছেন, তাঁর সঙ্গে একাধিক ছবির প্রস্তাব দিয়েছেন।  একতা নিজেও দাবি করেছেন, সুশান্তকে ছবি না দেওয়ার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে তা ভিত্তিহীন কারণ তিনিই তাঁকে বলিউডে এনেছিলেন। একের পর এক জটিল থিওরি তাঁকে হতবাক করে দিয়েছে। সত্য প্রকাশিত হবেই।

সুশান্তের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে বনশালী প্রোডাকশনস ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে সমবেদনা জানিয়েছে। বলেছে, তাদের দুঃখ প্রকাশের ভাষা নেই।