লন্ডন:  প্রাথমিক পরীক্ষায় দারুণ আশাপ্রদ ফল পেয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা গবেষকরা। জেনার ইনস্টিটিউটে কর্মরত এই বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সাফল্যের আরও এক ধাপ কাছে এগিয়ে এসেছেন। এখন তাঁদের ট্রায়াল শেষ ধাপে, পরীক্ষা চলছে ব্রাজিল, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দাদের ওপর।


এই গবেষকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনোলজি বিভাগের অধ্যাপিকা সারা গিলবার্ট। তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন ২৫০ গবেষক। ১০ জানুয়ারি করোনা টিকা তৈরির কাজে নামেন তাঁরা, তখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে অতিমারী বলে ঘোষণা করেনি। চিনা বিজ্ঞানীরা নোভেল করোনাভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ও তাঁর টিম কাজে হাত দেন। ফেব্রুয়ারিতে সারা বলেন, কোভিড ১৯ রুখতে টিকা দ্রুত তৈরি জরুরি। আর এক ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে উপযোগী একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা টিকা তৈরিতে সময় কমাতে পেরেছি আমরা। যত দ্রত সম্ভব ফল পাওয়া যাবে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাঁরা চিহ্নিত করেন করোনা টিকার সম্ভাব্য উপাদানগুলি। তাঁর আত্মবিশ্বাস এতটাই ছিল, শীতের আগে টিকা আসবে কিনা জানতে চাইলে সারা বলেছিলেন, আরও তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তাঁরা। ২০১৪-য় যখন ইবোলা মহামারীর চেহারা নেয় তখনও সারা ও তাঁর গবেষকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেয়। তাই চিনে যখন প্রথম করোনা দেখা দেয়, তখন আগের এমইআরএস (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস-এমইআরএস-সিওভি) সংক্রান্ত গবেষণা সম্বল করে কাজে নামেন তাঁরা। জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন ভোর চারটেয় উঠে তাঁরা লড়াই শুরু করছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে।

সারা জানিয়েছেন, এ বছরের শেষেই তাঁরা করোনার টিকা বার করতে চান, তবে যে কোনও কাজের অনিশ্চয়তার কথা মাথায় রেখে বলেছেন, এ ব্যাপারেও ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা নেই।

সারার তিন সন্তান, একই সঙ্গে জন্মেছিলেন, তিনজনেই ২১। তাঁরা ঠিক করেছেন, মায়ের তৈরি টিকার মানবদেহে পরীক্ষায় যোগ দেবেন তাঁরাও।