নয়াদিল্লি: টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিল হওয়ার পর চলতি বছরের আইপিএল টুর্নামেন্টের রাস্তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ পটেল নিশ্চিত করেছেন যে, এই টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই হচ্ছে, এর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাউন্সিলে বিস্তারিত আলোচনা হবে।


এই পরিস্থিতিতে আইসিসি-র বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার-- শোয়েব আখতার ও রশিদ লতিফ। আইপিএল ২০২০ যাতে হয়, সেইজন্য় আইসিসি ইচ্ছে করেই টি-২০ বিশ্বকাপ স্থগিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। দুজনই দাবি করেন, সরকারি ঘোষণা হওয়ার অনেক আগেই টি-২০ বাতিল হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তাঁরা।


শোয়েব বলেছেন, শেষ পর্যন্ত একজন ক্ষমতাশালী লোক বা ক্রিকেট বোর্ড নীতি স্থির করে, আপনার ক্ষতিটা নিশ্চিত করে। টি-২০ বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপ এবছরেই হতে পারত, ভারত ও পাকিস্তানের সামনে পরস্পরের সঙ্গে খেলার সুযোগ আসত একটা, কিন্তু সেটা ওরা ছেড়ে দিল।


রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেন, এর পিছনে অনেক কারণই আছে, আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করাই যেত, কিন্তু বারংবার আমি ও রশিদ বলেছি, ওরা সেটা হতে দেবে না। টি-২০ নরকে যাক, কিন্তু আইপিএলের ক্ষতি হওয়া চলবে না! ভারতের অবিলম্বে ক্রিকেটকে বাঁচানো দরকার।


তিনি আরও বলেছেন, ক্রিকেটের মান পড়বে, কিন্তু কিছু লোক খেলাটা থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার কামিয়ে যাবে। এমনকী ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ কমবে, পাকিস্তানে ২০১৭-র চ্য়াম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর যেমনটা হয়েছে।


অন্যদিকে, টি-২০ বিশ্বকাপ বাতিলের সিদ্ধান্তে অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলি লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন রশিদ লতিফ। তিনি বলেছেন, ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান বা ইংল্যান্ড, দুনিয়াব্যাপী সব ক্রিকেট বোর্ডই আর্থিক প্যাকেজের মুখাপেক্ষী থাকে। এব্যাপারে একা বিসিসিআই নয়, সব বোর্ডই একজোট। শুধু ভারত নয়, যারা টি-২০ বিশ্বকাপ না হলে লাভবান হবে, প্রত্যেকেই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত হয়েছে।


তাঁর মতে, টি-২০ বিশ্বকাপ ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে পারত, কিন্তু তাতে পাকিস্তানের ক্ষতি হত (২০২০-র পিএসএলের জন্য), এপ্রিল-মে মাসে আইপিএলের সূচি স্থির হয়। এতে বিসিসিআইয়ের ক্ষতি হত। নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিগ ব্যাশ লিগ বসায় অস্ট্রেলিয়া। এখন এই সিদ্ধান্তে আইসিসির প্রত্য়েকেরই লাভ হবে।


তিনি যোগ করেন, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সরকারি বিবৃতি বেরনোর আগেই আগাম ঘোষণা করেন, এশিয়া কাপ বাতিল করতে হচ্ছে। পিসিবি প্রধান এহসান মনি বা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড, যে-ই তাঁকে কিছু বলে থাকুক,পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত।