দিল্লি: কার হাতে শুরু হয়েছে, কে শেষ করবে, সেই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা জারি। কিন্তু ২০ দিনে কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছে গাজা। সীমান্তের ওপার থেকে মুহুর্মুহু বোমা, রকেট বর্ষণ করে চলেছে গাজা। তাতে একদিকে যেমন মৃত্যুমিছিল চলছে, তেমনই অন্য দিকে গাছপালা, বাড়িঘর সব ধুলোয় মিশে গিয়েছে। আর শুধু দাবি নয়, এবার স্যাটেলাইট থেকে তোলা  ছবিতে মিলল প্রমাণ। (Israel Palestine War)


মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা MAXAR কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার যে ছবি সামনে এনেছে, তা শিউড়ে ওঠার মতোই। তাতে দেখা গিয়েছে, ৭ অক্টোবরের আগে সবুজে ঘেরা গাজার সঙ্গে এখনকার গাজাকে মেলানো যায় না। ছবি জুড়ে ধ্বংসের চিহ্ন শূল হয়ে বেঁধে বুকে। (Israel Palestine Conflict)


ইজরায়েলি সেনার হামলায় গাজার আতাত্রা, বিট হানুন, আল শাতি শরণার্থী শিবির, ইজবাত বিত হানুনের বসতি এলাকার কী অবস্থা, তা ফুটে উঠেছে স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে। ২৪ ঘণ্টা লাগাতার বোমা বর্ষণে, সেখানে কার্যত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।




আরও পড়ুন: Israel Palestine War: ২০ দিনে ৭০০০ মৃত্যু গাজায়, নিহত ৩০০০ শিশু, যুদ্ধাপরাধ ঘটাচ্ছে ইজরায়েল!


গত ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। তাতে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার, ২,৯১৩। এর আগে, যুদ্ধ চলাকালীন কখনও এত শিশুর মৃত্যু ঘটেনি গাজায়।  


বুধবার রাতভর গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলি সেনা। গোলাগুলিও চলেছে নিরন্তর। ইজরায়েলি হামলায় এখনও পর্যন্ত গাজায় ২ লক্ষ বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। স্কুল এবং শিক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে ২১৯টি ভবন মাটিতে মিশে গিয়েছে, এর মধ্যে ১৯টি চালাত রাষ্ট্রপুঞ্জই। গত তিন সপ্তাহে গাজার ১৪ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী মারা গিয়েছেন। উত্তর গাজার ২৪টি হাসপাতাল খালি করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েল।


এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিটেপ তইপ এর্দোয়ান বলেন, "আত্মরক্ষার বাহানা আর খাটে না ইজরায়েলের ক্ষেত্রে। বুক ফুলিয়ে, সকলের চোখের সামনে গাজায় শোষণ, গণহত্যা, বর্বরতা এবং নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।" বাহরাইন, মিশর, জর্ডান, কুয়েত, মরক্কো, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও তীব্র সমালোচনা করেছে ইজরায়েলের। পশ্চিমি দেশগুলির পূর্ণ সমর্থনে ইজরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চলেছে, গণহত্যা করছে বলে মন্তব্য করেছে সিরিয়া।