নয়াদিল্লি: ফের অসম্ভবকে সম্ভব করতে নেমে পড়ল সৌদি আরব। এবার পৃথিবীর বৃহত্তম বিল্ডিং নির্মাণের কাজ শুরু করল তারা। সবমিলিয়ে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৫০০০ কোটি ডলার। নির্মাণকার্য সম্পন্ন হলে পৃথিবীর বৃহত্তম নির্মাণ হিসেবে সেটি চিহ্নিত হবে। উচ্চতা হবে ১৩০০ ফুট, প্রস্থ হবে ১২০০ ফুট। সৌদি আরব জানিয়েছে, নির্মাণ সম্পন্ন হলে নয়া বিল্ডিংয়ের চার দেওয়ালের ভিতর ২০টি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ঢুকে যাবে, যা আমেরিকার অন্যতম পরিচিতি। (The Mukaab in Saudi Arabia)


পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণে এই মুহূর্তে পৃথিবীর বাকি দেশগুলিকে জোর টক্কর দিচ্ছে সৌদি আরব। এব্যাপারে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। 'The Mukaab' নামের এই নির্মাণ প্রকল্পও তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানা যাচ্ছে। ঘনকের আকারের একটি গগনচুম্বী অট্টালিকার নির্মাণ হবে সেখানে। ইতিমধ্যেই নির্মাণকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (Largest Building in the World)


সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে তৈরি হবে 'The Mukaab'. মরুদেশের পরিকাঠামোর খোলনলচে এতে পাল্টে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।  'The Mukaab' শুধুমাত্র একটি বিল্ডিং নয়, ভবিষ্যৎমুখী আস্ত শহর হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। বসবাসের জন্য ভিতরে থাকবে আবাসন, হোটেল, অফিস, দোকান-বাজার, রেস্তরাঁ, স্পা-সহ সবকিছু। শহরজীবনের নয়া সংজ্ঞা তৈরি হবে। 



যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের 'Saudi Vision 2030'-এর অন্তর্ভুক্ত 'The Mukaab'. সৌদি আরবের অর্থনীতি মূলত তৈল নির্ভর। এর বিকল্প খুঁজে বের করাই যুবরাজের লক্ষ্য। তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনীতিকে আরও মজবুত করে তুলতে চান তিনি। ২০৩০ সালের মধ্যে তেল-ব্যাতীতই দেশের অর্থনীতিকে ৫১০০ কোটি ডলারে নিয়ে যেতে চান তিনি। ৩,৩৪ লক্ষ বাড়তি কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান। সেই লক্ষ্যেই ভবিষ্যৎমুখী এই প্রকল্প।


শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেই এই প্রকল্প নয়া উদাহরণ তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বিল্ডিং নির্মাণে যন্ত্রমেধার ব্যবহার করতে চলেছে সৌদি আরব। বিল্ডিংয়ের বাইরের দেওয়ালের গোটাটাই হবে স্ক্রিন। তবে নির্মাণ আধুনিক হলেও, তাতে থাকবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া। যে কারণে কাঠামো হবে সৌদির চিরাচরিত স্থাপত্যের আদলেই। সৌদি সরকারের তরফে যে নকশা প্রকাশ করা হয়েছে, তা নিয়ে যদিও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। মক্কার সঙ্গে তার মিল পেয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি নির্মাণকার্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের এনে নির্মাণ সারা নিয়ে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও।