নয়া দিল্লি: বিদেশে গিয়ে ভিক্ষুক সেজে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত হচ্ছে একাধিক পাক নাগরিক।  ভিক্ষাবৃত্তি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী পাকিস্তানি নাগরিকদের উপর নজরদারি আরও কঠোর করেছে। যদিও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ বলছে যে এই প্রবণতা দেশটির আন্তর্জাতিক মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। 

Continues below advertisement

এ বছর ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে কেবল সৌদি আরবই ২৪,০০০ পাকিস্তানিকে বহিষ্কার করেছে তা নয়। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাশাহী বেশিরভাগ পাকিস্তানি নাগরিকের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, কারণ তাদের উদ্বেগ ছিল যে দেশে আসার পর কেউ কেউ 'অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত' হচ্ছে।

পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সমস্যার মাত্রা বোঝা যায়। ২০২৫ সালে, কর্তৃপক্ষ সংগঠিত ভিক্ষাবৃত্তির সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলার এবং অবৈধ অভিবাসন রোধ করার লক্ষ্যে বিমানবন্দরে ৬৬ হাজার ১৫৪ জন যাত্রীকে নামিয়ে দেয়।

Continues below advertisement

এফআইএ-এর ডিরেক্টর রিফাত মুখতার বলেন, এই নেটওয়ার্কগুলি পাকিস্তানের সুনাম নষ্ট করছে। শুধু যে মধ্য প্রাচ্যে এমনটা ঘটে নয়, আফ্রিকা ও ইউরোপের পাশাপাশি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো পর্যটন ভিসা নিয়ে এই কাজ করার ঘটনা শনাক্ত করা গিয়েছে।    

ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে সৌদি আরব এ বছর ২৪,০০০ পাকিস্তানিকে তাড়িয়ে দিয়েছে।  দুবাই প্রায় ৬,০০০ জনকে ফেরত পাঠিয়েছে, আর আজারবাইজান প্রায় ২,৫০০ পাকিস্তানি ভিক্ষুককে বহিষ্কার করেছে। 

দ্য ডন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বেকার যুবক-মধ্যবয়সীদের নিয়োগ করে এটিকে একটি পাক চক্র ভিক্ষাবৃত্তি শিল্পে পরিণত করেছে। প্রথমে নিজের দেশে এটি এতটাই সফল উদ্যোগ যে এটি এখন অন্যান্য দেশে ও এই কাজ করছে চক্রটি। আগামী দিনে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, এমনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।  

দ্য ডন-এ প্রকাশিত আইনজীবী রাফিয়া জাকারিয়া বলেন, "অনেক পাকিস্তানি হজের সময় নিজের চোখে দেখেছেন, এই ভিক্ষুকরা মক্কা ও মদিনার পবিত্র স্থানগুলির বাইরে দোকান খুলে বসে, যেখানে তারা বিদেশী হজযাত্রীদের অর্থের জন্য হয়রানি করে, ঠিক যেমনটি তারা পাকিস্তানের বাজারগুলিতে ক্রেতাদের সঙ্গে ঠকানোর কাজ করে।"