৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধ। সে ব্যাপারে শুনানির পর আজ রায়দানের সময় শীর্ষ আদালত বলেছে, বিধিনিষেধমূলক নির্দেশ দেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেটদের উচিত ভাবনাচিন্তা করা, সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করা। স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, ইন্টারনেটের অধিকার ১৯(১)(এ) ধারায় মতপ্রকাশের অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই নেট পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে রাখা অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ। মানুষের অসহমত জানানোর অধিকার আছে। ইন্টারনেট তখনই বন্ধ রাখা যায়, যখন দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভয়াবহ বিপদ থাকে। আদালত আরও বলেছে, কোথাও ১৪৪ ধারা চালু করার সময়েও গভীরভাবে বিচার করা উচিত।
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ৩৭০ উত্তর পরিস্থিতিতে রাজ্যে যত বিধিনিষেধ বলবৎ রয়েছে, সেগুলি সব ১ সপ্তাহের মধ্যে ফের খতিয়ে দেখুক প্রশাসন। তারপর তাদের সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে আনুক। যেগুলি অপ্রয়োজনীয় সেগুলি প্রত্যাহার করুক। শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা পরিষেবার মত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলিতে এখনই চালু হোক ইন্টারনেট। এছাড়া উপত্যকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সমস্ত নির্দেশ পুনর্বিবেচিত হোক। আদালতের কথায়, ইন্টারনেটের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত বিধিনিষেধ বজায় রাখা যায়, তা আবার কিছুদিন পর পর পুনর্বিবেচনা করা উচিত।