নয়াদিল্লি : দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে ‘মানহানিকর’ ট্যুইট করায় কেন আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হবে না তাঁকে, ব্যাখ্যা তলব করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে আজ নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষেরও জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। আমেরিকার সংস্থাটি এই মামলার পক্ষ, তাদের ভারতীয় অধীনস্থ সংস্থা নয়, বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। নোটিস পাঠানো হয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপালকেও। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুজু করা মামলায় আদালতকে সহায়তা দেবেন। শুনানি হবে ৫ আগস্ট।
আমেরিকার ট্যুইটার ইনক-এর প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র আইনজীবী সাজন পুব্বাইয়াকে সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন করে, কেন আপত্তিকর ট্যুইটগুলো, আদালত অবমাননাকর বলে মনে করার পরও তারা নিষ্ক্রিয় করেনি। আদালত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু সরানোর নির্দেশ না দিলেও সাজন পুব্বাইয়া আশ্বাস দেন, প্রশান্ত ভূষণের অবমাননাকর ট্যুইটগুলি নিষ্ক্রিয় করা হবে। এই মামলায় তাঁর কিছুই আড়াল করার নেই বলে জানিয়ে পুব্বাইয়া আরও বলেন, আদালত নির্দেশ দিলে ট্য়ুইটার ইনক, ইউএসএ যে কোনও আপত্তিকর ট্যুইট নিষ্ক্রিয় করে দেবে।
প্রশান্ত ভূষণের গত জুনের কিছু ট্যুইটে দেশের প্রধান বিচারপতির অফিস ও বিচার বিভাগ সম্পর্কে খারাপ অভিমত ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিবেচনা করেছে। প্রশাসনিক দিক থেকে মামলাটি খতিয়ে দেখে আদালত শুনানির জন্য় তালিকাভুক্ত করে, উল্লেখ করে যে, ট্যুইটের অবমাননাসূচক অংশগুলো সংবাদপত্রেও ছাপা হয়েছে।
শীর্ষ আদালত বলেছে, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়, প্রশান্ত ভূষণের ট্যুইটগুলো ন্যয়বিচারকারী প্রশাসনের সুনাম নষ্ট করেছে এবং সাধারণ ভাবে সুপ্রিম কোর্ট নামক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা, কর্তৃত্ব খাটো করতে পারে ও বিশেষতঃ বৃহত্তর জনতার চোখে ভারতের প্রধান বিচারপতির দপ্তরের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারে।
আইনজীবীদের সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কারের মুখে পড়া বেশ বিরল ব্যাপার বটে, যদিও শীর্ষ আদালত গুটিকয়েক আইনজীবীকে সাম্প্রতিক অতীতে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত কক্ষে বা তার বাইরে বিচারক ও বিচারব্য়বস্থা নিয়ে তাঁদের মন্তব্যের জন্য। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষমা চাওয়ার পর তাঁদের সাবধান করে ছেড়ে দেওয়া হয় বা কিছুটা সময় আদালতে প্র্যাকটিস করায় তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।