নয়াদিল্লি: দেশে পূর্বনির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার স্থগিত রাখার মেয়াদ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রণকারী ডিরেক্টরেট জেনারেল অব কমার্শিয়াল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। দেশে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই পদক্ষেপ করল। করোনা সংক্রমণের জেরে গত ২৩ মার্চ থেকে ভারতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিজিসিএ বলেছে, সংশ্লিষ্ট বৈধ কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে, ভারত থেকে ও ভারতের উদ্দেশে আগাম নির্ধারিত যাত্রীবাহী বিমান চলাচল ২০২০-র ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে না আন্তর্জাতিক কারগো অর্থাত মালপত্র সরবরাহ পরিষেবা ও বিশেষ ভাবে ডিজিসিএ অনুমোদিত ফ্লাইট। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশেষ কিছু রুটে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর সম্মতি দিতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কেস টু কেস বেসিসে অর্থাত নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে ভারত অভিমুখে ও ভারত থেকে কয়েকটি বিশেষ আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান পরিষেবায় অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সরকার গত ৬ মে থেকে বন্দে ভারত মিশন কর্মসূচির আওতায় বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বিমান চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও আরও কয়েকটি প্রাইভেট বিমান সংস্থা নির্ধারিত সূচির বাইরে বিমান চালাচ্ছে, যাতে ফিরেছেন বহু ভারতীয়। ভারত সরকার তৃতীয় দফার বন্দে ভারত মিশন কর্মসূচি চালাচ্ছে এখন। নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দুনিয়াব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রী বিমান চলাচল স্থগিত থাকায় নানা দেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের ঘরে ফেরানোর এই অভিযান চলছে। সম্ভবত বিশ্বে নিজের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর এযাবত্কালের সবচেয়ে বড় কর্মসূচিগুলির অন্যতম এটি।
তবে দু মাসের ব্যবধানে গত ২৫ মে থেকে ঘরোয়া স্তরে যাত্রী বিমান পরিষেবা ফের চালু হয়েছে ভারতে।
গত ২০ জন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জানান, অন্য দেশগুলি বিমান নিতে তৈরি কিনা, তার ওপরই আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা ফের চালুর বিষয়টি নির্ভর করছে। তবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ঘরোয়া বিমান পরিষেবা পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছিলেন, অনেক দেশই তাদের ভূখণ্ডে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ চাপানো সহ লোকজনের ঢোকায় একাধিক শর্ত চাপিয়েছে। ফলে ভারতের সামনে উড়ান স্থগিত রাখা ব্যতীত আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।