মস্কো: পরস্পরের প্রতি আস্থা, সংবেদনশীলতা দেখানো, কারও ওপর আগ্রাসন না চালানো, শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপার্থক্য দূর করার পরিবেশই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা সুনিশ্চিত করার মূল পন্থা বলে অভিমত জানালেন রাজনাথ সিংহ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী শুক্রবার রাশিয়ার রাজধানীতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) দেশগুলির মন্ত্রীদের সভায় যখন একথা বলেন, সেই মঞ্চে তখন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংগে উপস্থিত ছিলেন বলে সংবাদ সংস্থার খবর। চিনের সঙ্গে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নিয়ে বিবাদ চলছে ভারতের। সংঘাতে জড়িয়েছে দুদেশের সেনাবাহিনী। সেই প্রেক্ষাপটেই কথাগুলি বলেন রাজনাথ। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আজ রাতে বৈঠকে বসার আগেই তিনি প্রতিবেশী দেশকে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এলাকায় আধিপত্য় কায়েমের চেষ্টায় ভারতীয় সেনাবাহিনী চুসুল সেক্টরের পর্বতশৃঙ্গগুলি দখল করেছে। তারপরই চাপে পড়ে গতকাল রাজনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।


রাজনাথ তাঁর ভাষণে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থা, মৌলবাদের বিপদের উল্লেখ করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি, ক্ষমতা অর্জনের পক্ষেও সওয়াল করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এসসিও সদস্য দেশগুলিতে, যেখানে গোটা দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের ওপর বসবাস করে, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, নিরাপদ পরিবেশ থাকতে হলে আস্থা ও সহযোগিতা, কারও বিরুদ্ধে আগ্রাসন না চালানো, আন্তর্জাতিক নিয়মনীতিকে সম্মান করা, পরস্পরের স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখানো, শান্তিপূর্ণ পথে মতপার্থক্য মেটানোর আবহাওয়া চাই।
তিনি আরও বলেন, আজ আমি ফের জোরের সঙ্গেই বলছি, ভারত সারা বিশ্বে এমন একটি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির জন্য দায়বদ্ধ, যাতে স্বচ্ছতা থাকবে, যেখানে সবাই সামিল হবে, যা নিয়মনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে।
চুসুল সেক্টরে চিনের ছক বানচাল করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৯ ও ৩০ আগস্টের মাঝের রাতে প্যাঙ্গং সো ও রেজাং লা-র কাছে রেচিন লা-তে পর্বতশৃঙ্গ দখল করে। তারপর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে দুদেশের মধ্যে। প্যাঙ্গং নর্থ এলাকায় ফিঙ্গার ৩ এলাকায় নিজেদের অবস্থান জোরদার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।