জেনিভা: আগামী বছরের মাাঝামাঝি সময়ের আগে ব্যাপকভাবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ভ্যাকসিনগুলির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে সংস্থার এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন এখন পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু সেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন থেকেই হু-র কাঙ্খিত কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পর্যায়ের কার্যকরীতা স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি।
মানব শরীরে পরীক্ষার দুই মাসের মধ্যেই গত অগাস্টে রাশিয়া একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছিল। ওই ভ্যাকসিনের কার্যকাারিতা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে অনেক পশ্চিমী বিশেষজ্ঞই ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন।
মার্কিন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ও পিফাইজার ইঙ্ক বৃহস্পতিবার বলেছে যে, একটি ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি হলে আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে বিতরণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকদিন আগে এই ভ্যাকসিনের বিতরণের জন্য তৈরি হয়ে যাওযার কথা বলা হচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় ভোট। এই ভোটে করোনা অতিমারী একটা বড় ইস্যু। দ্বিতীয় দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকতে পারবেন কিনা, তা ৩ নভেম্বরের ভোটে স্থির হবে।
হ্যারিজ জেনিভায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন প্রদানের আশা আমরা করছি না। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার সময় দীর্ঘ হওয়া দরকার। কারণ, সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষামূলক তা আমাদের দেখার প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে দেখতে হবে, তা কতটা নিরাপদ।
হ্যারিস অবশ্য কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের নাম উল্লেখ করেননি।
হ্যারিস বলেছেন, ট্রায়ালগুলির সমস্ত তথ্য জানানো উচিত ও তুলনা করে দেখা উচিত। তিনি বলেছেন, পরীক্ষামূলকভাবে অনেককেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে... কিন্তু সেই ভ্যাকসিনে কাজ হল কিনা, তা আমরা জানি না। এই পর্যায়ে কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে কোনও স্পষ্ট সংকেত আমাদের কাছে নেই।
হুও জাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স কোভ্যাক্স নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন বরাদ্দ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর লক্ষ্য প্রত্যেক দেশের স্বাস্থ্য কর্মী সহ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রথমে টিকা প্রদান।২০২১-র শেষের আগেই অনুমোদিত ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ সংগ্রহ ও পৌঁছে দেওযার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার মতো কোনও কোনও দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে নিজস্ব সরবহার নিশ্চিত করেছে। ওই দেশগুলি হু-র উদ্যোগে সামিল না হওয়ার কথা জানিয়েছে।