Titanic Wreckage: ক্রমশ কমছে আশা। বাড়ছে উদ্বেগ, আতঙ্ক। টাইটানিক (Titanic) দর্শনে যাওয়া ডুবোজাহাজের খোঁজে চলছে তল্লাশি। ৯৬ ঘণ্টার সতর্ক সীমাও পার হয়ে গিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে ওই সাবমেরিনের (Submarine) অক্সিজেনের মাত্রা (Oxygen Level) শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এদিকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে সফর শুরু করেছিল ডুবোজাহাজটি। তাহলে কী অবস্থা তাঁদের? এই প্রশ্ন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। বাড়ছে আতঙ্ক, আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটিকে খোঁজার এবং উদ্ধারের জন্য আরও জাহাজ এবং ভেসেল পাঠানো হয়েছে। গভীর জলের নীচে থেকে পাওয়া গিয়েছিল শব্দ। সেই সূত্র ধরেই ডুবোজাহাজটি খুঁজে পাওয়ার আশায় চালানো হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এই উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজের জন্য গভীর সমুদ্রে সচল থাকবে এমন রোবট পাঠানো হয়েছে ফ্রান্সের তরফে। এর পাশাপাশি ব্রিটেন ওই হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজটি খুঁজে বের করার জন্য একটি সাবমেরিনার পাঠিয়েছে।

  


গত রবিবার যাত্রা শুরু করেছিল এই ডুবোজাহাজ। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, চারদিন পর্যন্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন বজায় থাকবে এই ডুবোজাহাজে। তবে যদি সাবমেরিনে থাকা যাত্রীরা কোনওভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার অক্সিজেন সংরক্ষণ করতে পারেন তাহলে আরও বেশি সময় অক্সিজেন বজায় থাকবে একথাও বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এখন ডুবোজাহাজের যাত্রীদের প্রাণ সংশয়ের প্রশ্নও উঠছে। যেহেতু এতদিন ধরে ডুবোজাহাজটি নিখোঁজ রয়েছে, তাই এইসব সমস্যার কথাই ভাবা হচ্ছে। তবে মার্কিন উপকূল বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে এখনও আশা হারানো হচ্ছে না। ডুবোজাহাজ উদ্ধারের পাশাপাশি যাত্রীদের উদ্ধারের আশাও রাখছে তারা। তবে স্থানীয় সময় (মার্কিন প্রদেশ) অনুসারে বৃহস্পতিবার সকালে ডুবোজাহাজ টাইটানের ব্রিদেবল অক্সিজেনের মাত্রা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। 

বুধবারও জলের নীচ থেকে দরজা ধাক্কা দেওয়ার শব্দ কানে এসেছে। সেটি ওই ডুবোজাহাজ থেকেই এসেছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে আমেরিকার নৌবাহিনী। আটলান্টিক মহাসাগরের যে জায়গা থেকে ওই ডুবোজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তার বাইরেও আরও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। রাতভর কার্যত খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে আটলান্টিক। কিন্তু কোথাও দেখা নেই ডুবোজাহাজটির। উদ্ধারকার্য চালাতে যোগ দিয়েছে আমেরিকার উপকূল বাহিনী, কানাডার বায়ুসেনার বিমান, ফ্রান্সের নৌবাহিনীও। এ ছাড়াও নামানো হয়েছে রোবটচালিত যান। 


আটলান্টিক মহাসাগরর ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। রবিবার যে ডুবোজাহাজটি তার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেটির নাম 'টাইটান সাবমার্সিবল'। সেটির দৈর্ঘ্য ২২ ফুট। ওজন ১০ হাজার ৪৩২ কেজি।  একটানা ৯৬ ঘণ্টা পাঁচ সওয়ারিকে নিয়ে রওনা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাতে চেপে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দর্শন, এবং গভীর সমুদ্রে বিচরণ  করতে খরচ পড়ে মোটা টাকা, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি।


আরও পড়ুন- আপনি কি চুল পড়ার সমস্য়ায় জর্জরিত? পাতে রাখুন এই খাবারগুলি