নয়াদিল্লি: আমেরিকা সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই আবহেই ফের উদ্বেগের খবর এল সেদেশ থেকে। আরও একদল ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের ভারতে নামবে একটি বিমান। কেন্দ্র সিলমোহর না দিলেও, ওয়াশিংটনের তরফে এমনি খবর সামনে আসছে। (Indian Immigrants)
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার সেনার বিমান অমৃতসরের শ্রী গুরু রামদাসজি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রথম দফায় ১০৪ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠায় আমেরিকা। বেআইনি ভাবে তাঁরা আমেরিকায় ঢোকেন এবং ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এজেন্ট ধরে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে, দুর্গম পথ পেরিয়ে ওই ভারতীয়রা আমেরিকায় ভাল ভাবে বাঁচার জন্য গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। (Illegal Indian Immigrants)
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বেআইনি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেন ট্রাম্প। কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, গুয়াতেমালা-সহ ভারতীয় অভিবাসীদেরও ফেরত পাঠানো হয়। বেআইনি অভিবাসীদের হাতে হাতকড়া, কোমরে শিকল, পায়ে বেড়িয়ে পরিয়ে বিমানে তোলার ছবি ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।
ভারতীয়দের নিয়ে যখন পঞ্জাবে নামে আমেরিকার বিমান, তার ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি সংবাদমাধ্যমকে। কিন্তু যত সময় এগোতে থাকে, একের পর এক তথ্য সামনে আসতে থাকে। রীতিমতো ঠেলেঠুলে বিমানে তোলা হয়, কিছ জানানো পর্যন্ত হয়নি বলে জানান দেশে ফেরা ভারতীয়রা। আমেরিকার সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে ভিডিও প্রকাশ করে দেখানো হয়, ভারতীয় অভিবাসীদেরও হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল পরিয়েই বিমানে তোলা হয়।
ওই ভিডিও সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে চারিদিকে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ। কেন আমেরিকার সেনার বিমানকে দেশের মাটি ছুঁতে দেওয়া হল, কেন ভারতীয়দের হাতকড়া, বেড়ি পরাতে দেওয়া হল, ওঠে প্রশ্ন। যে ট্রাম্পের হয়ে আমেরিকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন মোদি, তিনি ভারতীয়দের চরম অপমান করেছেন বলে মন্তব্য করেন বিরোধীরা।
আর সেই আবহেই আমেরিকা সফরে গিয়েছেন মোদি। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর। অভিবাসী প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু তার মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপে ভারতীয়দের ফেরাতে উদ্যত হল আমেরিকা। এবার কতজনকে ফেরত পাঠাবে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু দিন আগে বিদেশমন্ত্রক জানায়, আরও ৪৮৭ জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বেআইনি অভিবাসী হিসেবে ১৮০০০ ভারতীয়কে আমেরিকা চিহ্নিত করেছে বলে খবর।