দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তৃণমূলকে কলকাতা থেকে লোক আনতে হয় না। তিনটে ব্লক ও দুটো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোক এসেছে. যা পরিস্থিতি মাঠে লোক দাঁড়ানোর জায়গা নেই। ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার জনসভার পাল্টা জনসভায় দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় লোক না হওয়ায় বিজেপি পরিকল্পিতভাবে হেনস্থার গল্প ছড়িয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ডায়মণ্ড হাবরারে এসেছিলেন। মিটিংয়ে কী লোক হয়েছিল? ১০ ডিসেম্বর নাড্ডার সভায় জমায়েতের ছবি দেখা যায়নি।  সংবাদ মাধ্যম দেখিয়েছে তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে। বললেন অভিষেক। তাঁর কথায়, বিজেপি নিজেকে সর্ববৃহৎ দল বলে দাবি করে। অথচ সভায় লোক হয় ৪০০-৪৫০। সেটা যেন মানুষের সামনে না আসে, সেই জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হেনস্থার গল্প ছড়িয়েছে বিজেপি। কোনও দিনও শুনেছেন ভিআইপি কনভয়ে বাস থাকে, ১৫০ বাইক থাকে? তাঁর প্রশ্ন।

নাড্ডার কনভয়ে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেননি অভিষেক। তাঁর দাবি, যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, তাদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ রয়েছে, কেউ হয়তো একটা ইট মেরেছে। তবে আপনাদের বলব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ইটে নয়, ইভিএমে হবে। তাঁর অভিযোগ, সাংসদরা ৫ কোটি টাকা পেতেন। করোনার সময় তাও কেড়ে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এ রাজ্যেও করোনা বাড়ছে, বিধায়করা ৭৫ লক্ষ টাকা করে বিধায়ক তহবিলের টাকা পাচ্ছেন। এটাই মোদি আর মমতা সরকারের পার্থক্য।

তাঁর কথায়, প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ফান্ড বন্ধ রয়েছে করোনার অজুহাতে। ৮ হাজার টাকা দিয়ে মোদি সরকার প্লেন কিনছে, তখন করোনা আসে না? বিজ্ঞাপনে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তখন করোনা আসে না? মানুষের জন্য যে টাকা সাংসদরা পান, তা বন্ধ করে দিচ্ছে। আমার ৫ বছর সাংসদের বেতন বন্ধ করে দিন, চ্যালেঞ্জ করছি, আমি যতদিন সাংসদ থাকব, আমায় টাকা দিতে হবে না। কিন্তু জনকল্যাণের টাকা কাড়ার অধিকার কে দিয়েছে? প্রশ্ন অভিষেকের।