বেজিং: দ্বিতীয় দফায় টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে চিনে। দেশের নিয়ামক সংস্থা সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন শর্তসাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি শুধু তাদেরই নয়, সাধারণ মানুষদের এবার টিকাকরণ করা হবে বলে জানিয়েছে নিয়ামক সংস্থা।


ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনে ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এতদিন পর্যন্ত যাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি তাঁদেরই টিকাকরণ করা হত। বিশেষজ্ঞদের আশা, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজ করবে এই টিকা। সিনোভ্যাক প্রস্তুতকারক সংস্থা জানিয়েছে, ব্রাজিল, তুরস্ক সহ একাধিক দেশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে এই ভ্যাকসিন। যদিও, ভ্যাকসিনের সুরক্ষা সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া দরকার বলে জানিয়েছে তারা।

গত বছর ডিসেম্বর মাসে ভ্যাকসিন ব্যবহারে সবুজ সংকত দেয় নিয়ামক সংস্থা। জানা গিয়েছে, ব্রাজিলে সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন ৫০ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। সিনোভ্যাক জানিয়েছে, ফলাফলে উঠে এসেছে ভ্যাকসিন যথেষ্ট সুরক্ষিত। যে কোনও বয়সের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সিনোফার্ম ডিসেম্বর মাসে জানায়, তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার ৭৯.৩৪ শতাংশ। যা ফাইজার বায়োএনটেক এবং মডার্নার থেকে কম। দুই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার হার যথাক্রমে ৯৫ এবং ৯৪ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত মাসে চিনে গিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। ভাইরাসে উৎপত্তিস্থল চিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন তাঁরা। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর তাঁরা জানিয়েছেন, কোনওদিন করোনা শূন্য হবে না পৃথিবী।  মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক দাবি করেছে বারবার তদন্ত আটকে দিয়েছে চিন। আমেরিকার অভিযোগ, ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি ভুল তথ্য দিয়েছে। উহানের ওই ল্যাবেই রোগ লুকিয়ে আছে বলে উল্লেখ করেছে তারা। অভিযোগ ওই ল্যাবে গোপনে বিভিন্ন কাজ করা হয়।  ধারাবাহিকভাবে ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ।