পুঞ্চ: ফের নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয়ে হামলা চালাল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা (Terrorist Attack In Poonch)। শুক্রবার ঘটনাটি জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ ভারতীয় সেনার হোয়াইট নাইট কর্পসের সরকারি হ্যান্ডেলের পোস্টে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কেউ হতাহত হননি। আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মিলে ওই এলাকায় যৌথ তল্লাশি অভিযান করছে।
যা জানা গেল...
পোস্টে লেখা, 'শুক্রবার সন্ধে ৬টায়, পুঞ্চ সেক্টরের কৃষ্ণ ঘাঁটির কাছে জঙ্গল থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয়ের উপর গুলিবর্ষণ করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। আমাদের বাহিনীর কেউ হতাহত হননি। ভারতীয় সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে।' এর আগে, নিরাপত্তাবাহিনীর কনভয়ে হামলার ঘটনায় রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর। পুলওয়ামার সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে সিআরপিএফের কনভয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ৪০ জন সিআরপিএফ আধিকারিকের প্রাণ যায় তাতে। পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ সেই হামলার দায়স্বীকার করে। যে আত্মঘাতী জঙ্গি কনভয়ের উপর বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে জইশ। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে, কনভয়ে থাকা একাধিক বাস স্রেফ লোহার পিণ্ডে পরিণত হয়েছিল। সেই স্মৃতি এখনও ভোলেনি উপত্য়কা।
এর পরও যে জঙ্গি-হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের রক্তপাত পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে, তা নয়। গত সেপ্টেম্বরে, জন্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার গারোল গ্রামে জঙ্গিদমনে যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশ। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান দুই সেনা অফিসার ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা। কর্নেল মনপ্রীত সিংহ ও মেজর আশিস ধোনাক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই দুই সদস্যের মৃত্যু হয়।মারা যান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাটও। তিন জনের সাহায্যার্থে বিপুল 'রিইনফোর্সমেন্ট' পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তুমুল গুলির লড়াইয়ের মাঝ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা যায়নি। হামলার দায়স্বীকার করে 'লস্কর-ই-তইবা'-র শাখা গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এতেই থামেনি মৃত্যুমিছিল। পরে তা আরও বাড়ে।
তার পর, গত নভেম্বরেও রাজৌরি জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ৪ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, বাজিমল গ্রামের এক বাসিন্দা জঙ্গিদের খাবার দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে জানান গ্রামবাসীরা। তার পরই বিশাল সন্ত্রাসদমন অভিযান শুরু হয়। রাতভর এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, দুজন জঙ্গিই এর নেপথ্য়ে রয়েছেন। কিন্তু পরে নিরাপত্তাবাহিনীর ধারণা হয়, আরও বেশি সংখ্যক জঙ্গি এর সঙ্গে যুক্ত।
আশার খবর একটাই। এবার সেই পরিণতি এড়ানো গিয়েছে।
আরও পড়ুন:'ভাগ্য নির্ধারিত ছিল'...আমি শুধু সারথি ছিলাম', রাম মন্দির নিয়ে কী বললেন আডবাণী