চণ্ডীগড়: প্রশাসনের অনুমতি না মেলা সত্ত্বেও হরিয়ানার নুহ-তে (Nuh) 'শোভাযাত্রায়' (Yatra) অনড় আয়োজক সংগঠন। এই কর্মসূচি ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই গোটা জেলাকে নিরাপত্তার (Security Tightened In Nuh) বর্মে ঢেকে ফেলেছে হরিয়ানা (Haryana) সরকার। মাছি গলারও উপায় নেই সেখানে, এমনই ব্য়বস্থা। এহেন পরিস্থিতিতেই টোল প্লাজায় দুই সন্ন্যাসীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল হরিয়ানা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ওই দু'জন অযোধ্যা থেকে নুহ-এর শোভাযাত্রায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। টোল প্লাজাতেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। বাধা পেয়ে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁদের এক জন।
কী ছবি?
গত ৩১ জুলাই এক ধর্মীয় শোভাযাত্রার উপর একদল দুষ্কৃতীর হামলা ঘিরে হিংসার আগুন ছড়িয়েছিল নুহ জেলায়। দেখতে দেখতে হিংসা-প্রতিহিংসার ঘটনায় ছ'জনের মৃত্যু হয় যার মধ্যে ছিলেন দু'জন হোমগার্ডও। সেই ঘটনার পর, এদিনের শোভাযাত্রায় অনুমতি দিতে চায়নি সরকার। তাদের ব্যাখ্যা ছিল, আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নুহ-তেই জি২০ ভুক্ত সদস্যদেশগুলির শেরপা গ্রুপ মিটিং রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। কিন্তু শোভাযাত্রার মূল আয়োজক সংগঠন সেই যুক্তি মানতে চায়নি। উল্টে সাফ জানিয়েছিল, অনুমতি নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠেনি। তাই অনুমতি মেলা না মেলার প্রসঙ্গ আসে না। অশান্তি এড়াতে সোমবার পর্যন্ত তাই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 'ইন্টারনেট' ও 'বাল্ক এসএমএসের' মতো পরিষেবাও বন্ধ এদিন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে আজকের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখা হয়েছে নুহ জেলায়।
শুধু তাই নয়। প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এদিন শুধুমাত্র নুহ-এর বাসিন্দারাই জেলার ভিতর ঢুকতে পারবেন। বাকিদের গাড়ি কোনও চেকপয়েন্ট থেকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। একাধিক চেকপয়েন্টে তাই কড়া নাকা চেকিং চলছে। গাড়ি থামিয়ে আইডি কার্ড পরীক্ষা করছেন পুলিশকর্মীরা। ঝামেলা ঠেকাতে ১ হাজার ৯০০ রাজ্য পুলিশ ও ২৪ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত, জানিয়েছেন নুহ জেলার এসপি। কিন্তু সাবধানের মার নেই। তাই কোনও ঢিলেমি দিত চায় না প্রশাসন।
কী বলছেন অযোধ্যা থেকে আসা সন্ন্যাসীরা?
তাঁদের একজনের অভিযোগ, 'আমাদের না এগোতে দিচ্ছে, না ফেরত যেতে দিচ্ছে। তাই আমরণ অনশন করব। অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে গেলেও অনশন চালিয়ে যাব।' মনোহর লাল খট্টর প্রশাসন অবশ্য় এখনও এই হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করেনি। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না বেরোয়, সেটাই এদিনের লক্ষ্য তাদের।
আরও পড়ুন:দত্তপুকুর-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি, ধৃতের নাম শফিক আলি