কলকাতা: রাজনীতির রং দেখে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।  রাজ্য সরকারের দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।


ঘূর্ণিঝড় চলে গেছে। কিন্তু, তার দগদগে ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে বঙ্গের উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকা। সহায়-সম্বলহীন অসংখ্য মানুষ। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে, পথে অনেকেই। এই দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যেদিন, তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন, সেদিনই ত্রাণ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।


বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজনীতির রং দেখে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। যারা বিজেপি কর্মী তাদের ত্রাণ শিবিরে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, দীলিপবাবু অভিযোগ করার জন্য অভিযোগ করছেন। তারা শুধু খবরে আছে মানুষের পাশে নেই। আজকে ঘূর্ণিঝড় এবং কোটাল চলে যাওয়ার পর তারা অভিযোগ করছেন। রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। কোন দুর্নীতি হবে না।


আমফানের সময় সেচমন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের আগে গতবছর নভেম্বরে সেচমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তার আগে ২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর তাঁকে বনমন্ত্রী করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে, আমফানের পর বাঁধ মেরামতি হলেও, একবছরের মধ্যে তা কেন ভেসে গেল? তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেন তদন্তের নির্দেশও। এ’নিয়ে শুক্রবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমফানের সময় তো তৈরি হল। সব কেন ভেসে গেল। মাটির বাঁধ তো ভাঙবেই। কয়েকটা সেভাবেই করা যেত। কবে থেকে ব্রিজ তৈরি করছে। শেষ আর হচ্ছে না। এরপরই তিনি তদন্তের নির্দেশ দেন। এই নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, নদী বাধ ভেঙে যাওয়ার ফলেই পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেচ মন্ত্রী থাকাকালীন বাধ মেরামতির জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিনি কাজ করছিলেন কিন্তু কেন তাকে সেচ দপ্তর থেকে বনদফতরে সরিয়ে দেওয়া হল?