নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন বণ্টনের অনুমতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরি ভিত্তিতে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এই ভ্যাকসিন বণ্টন করতে পারবে বলে জানিয়েছে হু। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে প্রথম ভারতে ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে বিশ্বের দরবারে। কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।


২ কোটি ভ্যাকসিন সারা বিশ্বের একাধিক দেশে সিরাম বণ্টন করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে কোভ্যাক্স দেশগুলিতে পাঠানো হবে এই ভ্যাকসিন। সিরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা আগেই জানিয়েছেন, ৫ কোটি ভ্যাকসিন রাখা হবে দেশবাসীর জন্য। তাঁর কথায়, বিশ্বের প্রতিটি দেশ বারতের দিকে তাকিয়ে আছে ভ্যাকসিনের দিকে। বিশ্বের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ দেশ ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন পাবে। গরিব এবং পিছিয়ে পড়া দেশগুলির জন্য টিকার প্রতি ডোজ ভারতীয় মুদ্রায় ২০০ টাকার বেশি রাখা হবে না।


করোনা মহামারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। যে তালিকায় আছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয় টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া ও ভারত বায়োটেকের করোনা ভ্যাকসিন আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানায় নিয়ামক সংস্থা। প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রথম দুই পর্যায়ে টিকা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় ৮৫ লক্ষ এবং দ্বিতীয় দফায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।


এরপরই ভ্যাকসিন আমদানি শুরু করেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। ভ্যাকসিন আমদানি করার জন্য ভারতে প্লেন পাঠায় ব্রাজিল।  অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ২০ লক্ষ ভ্য়াকসিন আমদানি করছে তারা। পাশপাশি বাংলাদেশ সহ একাধিক প্রতিবেশী দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।