নয়াদিল্লি: আগামী মাসেই শিশুদের উপর নোভাভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জুলাই মাসে এই ট্রায়াল শুরু করার লক্ষ্য নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বায়োটেকনোলজি সংস্থা নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এই ভ্যাকসিনের নাম কোভাভ্যাক্স। সংস্থার দাবি অনুসারে, ন্যানো-পার্টিকাল প্রোটিন-ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালের পর দেখা গিয়েছে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকরী।
সূত্রের খবর, অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত হবে ভারতে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন ব্যবহারে অনুমোদন দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে চলতি সপ্তাহে নোভাভ্যাক্সের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে প্রতিরোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই ভ্যাকসিন। তারা উল্লেখ করেছে নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। সামান্য উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকরী। তারা আরও জানিয়েছে, করোনার নতুন প্রজাতির থেকে সংক্রমণ রুখতে ৯৩ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। শেষ ধাপের ট্রায়ালে এই ফল পাওয়া গিয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে নোভাভ্যাক্স।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। এরইমধ্যে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাতে শিশুদের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞজের একাংশ। এই আবহে আরও ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের খবরে আশার আলো দেখছে দেশবাসী। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে শিশুদের কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে দিল্লির এইমসে ২-১৮ বছর বয়সীদের কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। তার আগে পটনা এইমসেও শুরু হয়েছে এই ট্রায়াল। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে ২৬ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯১ হাজার ২৫১ জনের।