কলকাতা: কীভাবে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন,
করোনা আবহে সিবিএসই সহ অন্যান্য বোর্ডের মতো এবার এ রাজ্যেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশ হবে।
৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট ও জনমতের ওপর ভিত্তি করেই রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কীভাবে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন করা হবে, তা নিয়ে আর কিছুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এদিনই সুপ্রিম কোর্টে সিবিএসই জানিয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হবে সিবিএসই ফল ঘোষণা করা হবে। এদিন শীর্ষ আদালতে সিবিএসই-র হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ঠিক হবে সিবিএসই দ্বাদশের ফল। ৩০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে দশম শ্রেণির পারফরমেন্সে। ৪০ শতাংশ ওয়েটেজ থাকবে একাদশ ও দ্বাদশের পারফরমেন্সে।
তিনি আরও জানান, দশমের ক্ষেত্রে ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বিষয়ের নম্বর নেওয়া হবে। অন্যদিকে, দ্বাদশের ক্ষেত্রে ইউনিট, টার্ম প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলও থাকবে নজরে। তিনি যোগ করেন, কোনও ছাত্র-ছাত্রী নিজের নম্বর বা গ্রেডেশন নিয়ে অখুশি থাকলে, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বা স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়ে সশরীরে পরীক্ষায় বসে তা শুধরে নিতে পারবে।
এদিন, বিচারপতি এএম খানউইলকর ও বিচারপতি নীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চে সিবিএসই শুনানি চলছিল। সেখানে সিবিএসই-র তরফে দ্বাদশ পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে আদালতকে অবগত করা হয়। বলা হয়েছে, দ্বাদশের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শেষ তিন বছর -- অর্থাৎ, দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অভ্য়ন্তরীণ মূল্যায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
১২ সদস্যের সিবিএসই কমিটি জানিয়েছে, মূল্যায়েনর জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর দ্বাদশের প্রি-বোর্ড বা দ্বাদশ টেস্ট পরীক্ষা থেকে নেওয়া হবে। এছাড়া, একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা থেকে ৩০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে। বাকি ৩০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে দশম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষার সেরা তিন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর থেকে। এছাড়া, স্কুলের জমা দেওয়া প্র্যাকটিক্যাল নম্বর জুড়ে দেওয়া হবে মূল্যায়নে। সিবিএসই জানিয়েছে, যদি কোনও পরীক্ষার্থী তিন বছরের এই যোগ্যতা নির্ধারণ পদ্ধতিতে সফল না হতে পারে, তাহলে তাকে বাধ্য়তামূলক পুনর্মূল্যায়ন বা কম্পার্টমেন্ট ক্যাটেগরিতে রাখা হবে। এছাড়া, সিবিএসই-র মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যদি কোনও পরীক্ষার্থী নিজের নম্বরে অখুশি থাকে, তাহলে সশরীরে পরীক্ষার বন্দোবস্তও রয়েছে সেখানে। বলা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, দেশে করোনা সংক্রমণ কমে গেলে এবং স্কুল সময় ঠিক করলে, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া সশরীরে পরীক্ষা দিয়ে নিজের পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI