কলকাতা: কর্নাটকের চিত্রদুর্গ থেকে গ্রেফতার ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। আর তাঁদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংযোগ উঠে এল। কর্নাটক পুলিশের দাবি,  ধৃতেরা বাংলাদেশের বাসিন্দা। এ দেশে থাকতে কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর কলকাতায় ঘাঁটি গাড়েন তাঁরা। জাল আধার কার্ড ও অন্যান্য নথি তৈরি করে দেশের নানা শহরে কাজের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন ওই ছয় বাংলাদেশি নাগরিক। কিছুদিন আগে কাজের খোঁজে কর্নাটকের চিত্রদুর্গে পৌঁছন। (Bangladeshis Arrested)


কর্নাটক পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, লেবার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবুক এবং একটি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিকার আড়ালে অনুপ্রবেশকারীদের অন্য উদ্দেশ্য ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আবারও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আবার ধৃতদের পশ্চিমবঙ্গ সংযোগ ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কেরও অবকাশ তৈরি হয়েছে। (Bangladeshis Arrested in Karnataka)


পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার টহল চলাকালীন ওই ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের গতিবিধি দেখে সন্দেহ জাগে পুলিশের। সেই সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁরা আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢুকেছেন। কলকাতায় জাল আধার কার্ড, ভোটার আইটি কার্ড, প্যান কার্ড, ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং পাসপোর্ট তৈরি করেন। এর পর বিভিন্ন রাজ্য হয়ে কর্নাটকে পৌঁছন কাজের সন্ধানে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড জাল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বাকি নথিগুলিও জাল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এই মুহূর্তে।


ধৃত ছ'জনকে শেখ সইফুর রহমান, মহম্মদ সুমান হুসেন আলি, মজহারুল, আজিজুল শেখ, মহম্মদ শেখ সাকিব সিকদার এবং সানোয়ার হোসেন নামে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর আগে, গত মাসে উডুপি থেকেও ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। আবারও ছয় জনকে গ্রেফতার করা হল। 


বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এমনকি নির্বাচনী ময়দানে এই বেআইনি অনুপ্রবেশ রাজনৈতি হাতিয়ারেও পরিণত হয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যর্থ বলে এর আগে অমিত শাহ মন্তব্য করে গিয়েছেন।  ইদানীং কালে রাজনৈতিক হাতিয়ারও হয়ে উঠেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে গিয়ে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীও একই দাবি করেন। পশ্চিমবঙ্গ হয়ে রোহিঙ্গারা ভারতে ঢুকছেন, মহারাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের রুটি-রোজগার কেড়ে নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।