Israel Hamas Conflict: অবশেষে পাওয়া গেল কিছুটা স্বস্তির খবর। যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং অবরুদ্ধ গাজার (Gaza Strip) জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলি রাফাহ (Rafah) সীমান্ত পার করেছে। মিশর (Egypt) থেকে এসেছে এই ট্রাকগুলি। ইজিপিসিয়ান রেড ক্রিসেন্ট- এই সংস্থা (humanitarian society) মিশরে মানবিক সহায়তা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করে। এই সংস্থার এক আধিকারিক এবং নিরাপত্তা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে মিশর থেকে আসা ওই ট্রাকগুলি নিরাপদে রাফাহ সীমান্ত পার করে গাজার দিকে রওনা হয়েছে। এই সংস্থার তরফে ২০টি ট্রাক পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, যে মানবিক সাহায্য গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে তা কেবলমাত্র দক্ষিণ অংশেই যাবে। ওই এলাকায় হামাসের সঙ্গে লড়াই এড়াতে চায় ইজরায়েল। আর তাই প্যালেস্তানিদের গাজা উপত্যকার দক্ষিণভাগে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। তাদের প্রধান মুখপাত্র Rear Admiral ড্যানিয়েল হাগেরি জানিয়েছেন, এই সাহায্যের মধ্যে অবশ্য জ্বালানি যুক্ত নেই। 


জানা গিয়েছে, রাফাহ- যে সীমান্ত পার করে মানবিক সাহায্য নিয়ে গাজায় আসছে ট্রাক, এটিই গাজায় প্রবেশের একমাত্র পথ যা ইজরায়েল নিয়ন্ত্রণ করে না। সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অনুরোধে এই পথে গাজায় অনুদান পৌঁছনোর ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছে ইজরায়েল। এইসব ট্রাকের সঙ্গে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স, রাষ্ট্রসঙ্ঘের দু'টি গাড়ি এবং দুটো রেড ক্রস সংস্থার গাড়িও পাঠানো হয়েছে গাজার উদ্দেশে। 


মিশরের স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে হামাস এবং ইজরায়েলের যুদ্ধের ১৫ দিনের মাথায় মানবিক সাহায্য নিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রাক রাফাহ সীমান্ত পার করেছে। এইসব ট্রাক একটি গেট বা প্রবেশদ্বার পার করেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস বাহিনী অতর্কিতে হামলা করেছিল ইজরায়েলে। তারপর থেকে পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইজরায়েলে। গাজা উপত্যকায় চলছে বোমা বর্ষণ। আকাশপথেও চলছে হামলা। সম্প্রতি গাজার একটি হাসপাতালেও ভয়াবহ হামলা হয়েছে। যদিও সেই বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করেছে ইজরায়েল তথা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। কিন্তু তা মানতে নারাজ প্যালেস্তাইন। 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হামাসের তরফে ইজরায়েলে হামলার পরেই নেতানিয়াহুর সরকার গাজার প্রতি সম্পূর্ণ অবরোধ জারি করেছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয় জল, খাবার, জ্বালানি, বিদ্যুতের সরবরাহ। নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে। আতঙ্ক এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুয়েত্রেস। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বাস্তবে হয়েওছে তাই। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস কার্যত ঝড়ের গতিতে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েছিল ইজরায়েলে। শুরু হয়েছিল অকথ্য অত্যাচার। মৃতের সংখ্যা ঠিক কত, কতজন এখনও পণবন্দী এবং নিখোঁজ রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও স্পষ্ট নয়। 


আরও পড়ুন- ৪ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনে ইতি, দেশে ফিরলেন নওয়াজ শরিফ, পাক রাজনীতিতে নয়া ইনিংসের জল্পনা