নয়া দিল্লি: ফের বাংলাদেশে হিন্দু-নির্যাতনের অভিযোগ। এবার তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কুমিল্লায়। বর্বরোচিত অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হল সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছেড়ে দেওয়ার আকুতি করছেন মহিলা। এই হামলার ভিডিও প্রকাশের পর সকলে ধিক্কার জানিয়েছে। বাংলাদেশকে ফের কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রকও। সংবাদ সম্মেলনে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নয়াদিল্লির উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন। দুর্গা মন্দিরের ক্ষতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে হিন্দু, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।"                      

Continues below advertisement

এদিকে, কুমিল্লা জেলার পুলিশ প্রধান নাজির আহমেদ খান নিশ্চিত করেছেন যে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় ভোরে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি শেয়ার করার জন্য আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে কুমিল্লা মুরাদনগর ধর্ষণ মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব। আমরা তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। 

নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগপত্রে লিখেছেন, মূল অভিযুক্ত ফজর আলি আগেও তাঁকে কু-প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষতি করার চেষ্টা করে। দিন ১৫ আগে তিনি কুমিল্লায় বাবার বাড়িতে আসেন। কয়েকদিন ধরেই রাস্তায় তাঁকে উত্ত্যক্ত করে ফজর আলি। এরপর, ২৬ জুন রাতে মহিলা যখন দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন, তখন আচমকা বাড়িতে হানা দেয় অভিযুক্ত। সে সময় বাড়িতে ছিলেন না নির্যাতিতার মা-বাবা।                          

Continues below advertisement

কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে ফজর আলি। অভিযোগ, এরপর বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। গোটা ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ফজর আলি। তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে ফজর আলিকে ধরে বেধড়ক মারধর করে। যদিও তারপর পালিয়ে যায় সে। পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।                                  

গত বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশেরই নড়াইলে, হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে খুনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে।  আর এবার কুমিল্লার হিন্দু মহিলা কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল।