নয়াদিল্লি: এক মাসের বেশি চলতে থাকা শাহিনবাগের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী অবস্থান, বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে হতে চলা দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ইস্যুটা? শুধু সিএএ-ই নয়, প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) বিরুদ্ধেও শাহিনবাগের অবস্থান চলছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে শাহিনবাগের বিক্ষোভও ইস্যু এখন। এবিপি আনন্দ-সি ভোটার পরিচালিত যৌথ সমীক্ষায় কতটা প্রভাব ফেলতে পারে শাহিনবাগের বিক্ষোভ, জানতে চাওয়া হয় মতামত দেওয়া লোকজনের কাছে। বাচ্চাকাচ্চা সমেত কয়েক হাজার মহিলা, তরুণীর অবস্থান কতটা ঠিক, জানতে চাওয়া হলে ৬২ শতাংশই জানিয়েছেন, রাস্তা জুড়ে বসে থাকা ঠিক নয়। ২৭ শতাংশ অবস্থান কর্মসূচি সঠিক বলে জানিয়েছেন। ১১ শতাংশ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শাহিনবাগের প্রতিবাদের ইস্যু থেকে কে কতটা ফায়দা তুলতে পারে, জানতে চাওয়া হলে ৩৯ শতাংশ এতে বিজেপি লাভবান হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন। ২৫ শতাংশের মত, লাভ হবে আপের। ১০ শতাংশ এতে আপ বা বিজেপি, কেউই ফায়দা তুলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন। ৪ শতাংশ এতে কংগ্রেসের সুবিধা হবে বলে মনে করছেন।
দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারেও বিজেপির মূল কান্ডারী সেই নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। ৬১ শতাংশ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যুগলবন্দিতে সুবিধা হবে বিজেপির। মোদি যেভাবে প্রচারের শেষ লগ্নে আক্রমণাত্মক মেজাজে ঝড় তুলেছেন, তাতে বিজেপি হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে পারে। ২৯ শতাংশের অবশ্য অভিমত, মোদি যতই হাওয়া তোলার চেষ্টা করুন, ভোটবাক্সে তার কোনও প্রতিফলন ঘটবে না। ১০ শতাংশ মতামত দিতে চাননি। অমিত শাহের প্রচার থেকে বিজেপি ফায়দা তুলতে পারে বলে জানিয়েছেন ৫৩ শতাংশ। যদিও ৩৬ শতাংশ শাহকে নামিয়ে বিজেপি ফায়দা তুলতে পারবে না বলে মনে করছেন। ১১ শতাংশ কিছু বলতে চাননি।
বিজেপি প্রচারে টার্গেট করেছে আপ প্রতিষ্ঠাতা তথা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবালকে। কখনও কখনও তা ব্যক্তিগত আক্রমণের স্তরে নেমেছে। এতে কি বিজেপির সম্ভাবনা মার খাবে, প্রশ্ন করা হলে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, হ্য়াঁ। আর ২৪ শতাংশ এতে বিজেপির সম্ভাবনা ধাক্কা খাবে না বলে জানিয়েছেন। ৪ শতাংশের মত, আপ ও বিজেপি, কারও কোনও ক্ষতি হবে না। ২৪ শতাংশ কিছু বলতে চাননি।