ইসলামাবাদ: যুবরাজ সিংহ ও হরভজন সিংহের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সত্ত্বেও অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যু তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় শাহিদ আফ্রিদির সমালোচনা করলেন পাকিস্তানের আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া।
চলতি মাসের গোড়ায়, কোভিড-১৯ ত্রাণ বিলি নিয়ে 'ডোনেট করো না' নামে একটি প্রকল্পের সূচনা করেন শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর প্রকল্পের জন্য যুবরাজ সিংহ ও হরভজন সিংহের সাহায্য চান আফ্রিদি। সীমান্তের এপার থেকে সেই প্রকল্পকে সমর্থন জোগান যুবরাজ সিংহ ও হরভজন সিংহ।
কিন্তু, কয়েকদিনের মধ্যে আফ্রিদির একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্র সরকার ধর্মীয় নিপীড়ন চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন আফ্রিদি।
আফ্রিদির এই মন্তব্য সীমান্তের এপারে থাকা তাঁর ক্রিকেটার বন্ধুদের পছন্দ হয়নি বলাই বাহুল্য। হরভজন সিংহ সাফ জানিয়ে দেন, তিনি প্রাক্তন পাক অল-রাউন্ডারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছেন। আফ্রিদির তীব্র সমালোচনা করেন শিখর ধবন, যুবরাজ সিংহ, সুরেশ রায়না ও গৌতম গম্ভীরও। যা নিয়ে আফ্রিদি দাবি করেন, হরভজন ও যুবরাজকে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে।
শুধু ভারত থেকেই নয়। পাকিস্তান থেকেও সমালোচিত হয়েছেন আফ্রিদি। প্রাক্তন পাক অধিনায়কের এহেন মন্তব্যের নিন্দা করলেন দানিশ কানেরিয়া। তাঁর মতে, এক হাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের থেকে সাহায্য চেয়ে অন্য হাতে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করার কোনও অধিকার নেই আফ্রিদির।
তিনি বলেন, আফ্রিদির উচিত কোনও বিষয়ে কথা বলার আগে ভাবা। ও যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে চায় তাহলে আগে ক্রিকেটের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। রাজনীতিবিদের মতো কথা বললে, আগে ক্রিকেট ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এধরনের মন্তব্য শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বের সামনে পাক ক্রিকেটের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়।
কানেরিয়া যোগ করেন, আপনি একদিকে ওদের থেকে সাহায্য চাইছেন। আবার ওদেরই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই কথা বলছেন। এটা কী ধরনের বন্ধুত্ব?