নয়াদিল্লি: লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই। রাহুল হিন্দুদের আক্রমণ করেছেন বলে দাবি করেছে বিজেপি, তার দরুণ রাহুলের ভাষণের অংশ বিশেষও বাদ গিয়েছে রেকর্ড থেকে। সেই আবহেই রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ, জ্যোতির্মঠের ৪৬তম শঙ্করাচার্য। হিন্দুধর্মে হিংসার জায়গা নেই, রাহুল এইটুকুই বলেছেন বলে জানালেন তিনি। (Shankaracharya on Rahul)
লোকসভায় রাহুলের যে মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে দাবি করছে, সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শঙ্করাচার্য। তাঁর বক্তব্য, "রাহুল গাঁধীর গোটা ভাষণই মন দিয়ে শুনেছি আমরা। উনি দ্ব্যর্থহীন ভাবে একটি কথার উপরই জোর দিয়েছেন যে, হিন্দুধর্মে হিংসার কোনও জায়গা নেই।" রাহুলের ভাষণের যে অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, তা বিকৃত করে ছড়ানোরও সমালোচনা করেন শঙ্করাচার্য। ভাষণের কিছু অংশ কেটে ছড়িয়ে দেওয়া বিভ্রান্তিকর এবং অনৈতিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। যে বা যাঁরা এই ধরনের অপপ্রচার করেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান। (Shankaracharya on Rahul Speech)
লোকসভায় সম্প্রতি কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে ভগবান শিব, গুরু নানক, যিশু খ্রিস্ট- ইসলামে প্রার্থনারত হাতের ছবি তুলে ধরেন তিনি। প্রত্যেক ধর্মই শান্তি, সহাবস্থানের কথা বলে, জানান রাহুল। কিন্তু বিজেপি হিন্দুধর্মের দোহাই দিয়ে হিংসার রাজনীতি করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভার অধিবেশন।
রাহুলের ভাষণের মাঝেই লোকসভায় আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাহুল গোটা হিন্দুসমাজকে হিংস্র বলছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বিজেপি-র নেতা-মন্ত্রীরাও সেই নিয়ে সরব হন। রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে যেমন দাবি করেন তাঁরা, তেমনই রাহুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান। সেই আবহে লোকসভার রেকর্ড থেকে রাহুলের ভাষণের অংশ বিশেষ ছেঁটে বাদ দেওয়া হয়। রাহুল যদিও গোড়া থেকেই দাবি করে আসছেন যে, তাঁর মন্তব্য বিকৃত করা হচ্ছে। হিন্দুধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদের নয়, তিনি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীকে হিংস্র বলেছেন বলে লোকসভাতেই ঘোষণা করেন রাহুল। যদিও বিজেপি চুপ থাকেনি। কিন্তু এবার রাহুলের পাশে দাঁড়ালেন শঙ্করাচার্য।