নয়াদিল্লি: গত বছরের ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা, দাঙ্গায় প্ররোচনা, উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল দিল্লি পুলিশ। গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি ভাষণ দিয়ে প্ররোচনা ছড়ান, জামিয়ার দাঙ্গায় ইন্ধন দেন বলে দাবি তাদের। সংগৃহীত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে শারজিলের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ, ১৫৩ এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বিভিন্ন সম্প্রদায়, গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো) প্রয়োগ করা হয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনের কর্মী শারজিল, প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ পেশ হওয়ার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি তাঁকে বিহারের জেহানাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়। জেএনইউয়ের গবেষক এই প্রাক্তনীকে উত্তরপ্রদেশ,অসম, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, দিল্লি সমেত একাধিক রাজ্যের পুলিশ খুঁজছিল।
আইআইটি, মুম্বইয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক শারজিল জেএনইউয়ের সেন্টার ফর হিস্টরিকাল স্টাডিজে গবেষণার জন্য দিল্লি এসেছিলেন।
তিনি এক ভাষণে অসম ও দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে ‘টুকরো করা’ , বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছেন, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় শারজিলের বিরুদ্ধে। সেই ভাষণে তাঁরে বলতে শোনা গিয়েছে, ৫ লাখ লোক জোগাড় করতে পারলে পাকাপাকি ভারত থেকে উত্তরপূর্বকে আলাদা করে দেওয়া যায়, পাকাপাকি না হলেও এক-আধ মাসের জন্য তো করা যায়-ই। রেললাইন, রাস্তায় জঞ্জাল যত পারুন, ময়লা ফেলুন, যাতে বিমানবাহিনীর সরাতে এক মাস লেগে যায়। অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা আমাদের দায়িত্ব। একমাত্র সেটা করতে পারলেই সরকার আমাদের কথা শুনবে। অসমের মুসলিমদের দুরবস্থার কথা সবাই জানি। ওদের ডিটেনশন সেন্টারে পোরা হচ্ছে।