সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি সারা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিতে দেশে দেশে ঘুরছে ভারতের প্রতিনিধি দল। পাক-সস্ত্রাসের আসল চেহারাটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই উদ্দেশ্য। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের নেতৃত্বে একটি দল আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনসে একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজের ছেলেরই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তারুর। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক ঈশান তারুর। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই যে ভারতের প্রতিনিধি দল দেশে-দেশে ঘুরছে, তাঁদের কাছে কেউ পাক সন্ত্রাসের প্রমাণ চায়নি ? এই যে বিভিন্ন দেশে তাঁরা ঘুরছেন, কোনও সরকারি প্রতিনিধি কি পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া ঘৃণ্য ঘটনা যে পাকিস্তানেরই ঘটানো, তার প্রমাণ চেয়েছেন ? জুনিয়র তারুরের প্রশ্ন শুনেই, মজা করে শশী বলেন, "উঠে দাঁড়াতে হবে।  এটা কিন্তু ঠিক নয়...ও আমার ছেলে "। তারপর অবশ্য সবিস্তারে উত্তর দেন  তিনি। 

শশী বলেন, 'আমি খুব খুশি যে তুমি এই প্রশ্ন তুলেছ,ঈশান। ... খুব সহজভাবে বলতে গেলে, কারও কোনও সন্দেহ ছিল না এবং আমাদের কাছে প্রমাণ চাওয়া হয়নি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম দুই বা তিন জায়গায় জিজ্ঞাসা করেছে। আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারত বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ ছাড়া এটা করত না' কংগ্রেস সাংসদ তার আমেরিকান শ্রোতাদের মনে করিয়ে দেন, ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানেই একটি সেনা ক্যাম্পের কাছে একটি সেফ হাউসে পাওয়া গিয়েছিল। আরও ব্যাখ্যা দিয়ে তারুর বলেন, প্রথমত, পাকিস্তান গত ৩৭ বছর ধরে  ধারাবাহিকভাবে  সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে আসছে আর অস্বীকারও করে আসছে। তাছাড়া, আমেরিকানরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি যে  ওসামা বিন লাদেন কোথায় ছিল। তাকে  একটি পাকিস্তানে সেনা শিবিরের ঠিক পাশে একটি সেফ হাউসে পাওয়া যায়। মুম্বই হামলার ক্ষেত্রেও পাকিস্তান যুক্ত থাকার বিষয়টি  অস্বীকার করেছিল...তাই আমরা জানি পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য কী। 

এদিন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের সঙ্গে কথা বলে ভারতের প্রতিনিধ দল। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার সময় ভান্স সস্ত্রীক বেড়াতে এসেছিলেন ভারতে। তাঁর সঙ্গ বৈঠক সারার পর কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্সের সঙ্গে দুর্দান্ত আলোচনা হয়েছে।  তিনি পহেলগাঁও হামলার  পরবর্তী সময়ে ভারতের অবস্থানকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন।  শশী জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া  জানানোর অধিকারকে মেনে নেন তিনি।  তারপরে আমরা AI সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি নিয়ে কথা হয়।