নয়া দিল্লি: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি গোটা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত করতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। রাশিয়া থেকে আরব, কুয়েত থেকে জাপান, একের পর এক দেশে গিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা তুলে ধরছেন সর্বদলীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা।

ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তুলোধোনা করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, 'আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিল, আছে সবসময়ই। কিন্তু আমরা আমাদের তরফে কারওকে বলিনি এই বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা করতে। পাকিস্তানিরা যে ভাষা বোঝে সেই জঙ্গিদের ভাষায় আমরা কথা বলিনা, বলতে পছন্দও করিনা। তাঁরা যদি জঙ্গি দমন নিয়ে কথা বলেত চায় অবশ্যই ভারত কথা বলবে। তাঁরা যদি স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে কথা বলতে চায় অবশ্যই বলব। তখন আমাদের কোনও মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হবে না। আমেরিকা নিজে থেকে সেটা করেছে সেটা তাঁদের আর পাকিস্তানের বিষয় যে কী কথা হয়েছে। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিকগত অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক।'   

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেকে বারংবার কৃতিত্ব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই নাকি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি করিয়েছেন, বারবার এই দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।  যদিও আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক।

তবে এরপর অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ছিল, 'আমি করেছি (মধ্যস্থতা) এটা বলছি না। আমি গত সপ্তাহে সাহায্য করেছি পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সমস্যা সমাধানের। যেটা দিনে দিনে আরও প্রতিকূল হচ্ছিল। আমরা তাদের বাণিজ্যের কথা বলেছি। বলেছি, আসুন যুদ্ধের পরিবর্তে বাণিজ্য করি। পাকিস্তান এতে খুব খুশি হয়েছে এবং ভারতেও এতে খুশি। আমি বলেছি, আমি সব সমস্যার সমাধান করতে পারি, আমিই পারি।' 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'অপারেশন সিঁদুর'কে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের ১৪০ কোটি মানুষ। কিন্তু, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ভারত-পাকিস্তানের আগে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং তারপর থেকে যেভাবে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি করানোর দাবি করছেন, তার ফলে যে চাপানউতোর শুরু হযেছে, তা এখনই কমার নয়।