নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। জানালেন, দলের যদি তাঁর কাজকর্ম পছন্দ না হয়, সেক্ষেত্রে তাঁর সামনে অন্য রাস্তা খোলা আছে। তাহলে কি দলবদলের ভাবনা চিন্তা করছেন তারুর? কংগ্রেস ছাড়লে কোন দলে গিয়ে উঠবেন, সেই নিয়ে জোর জল্পনা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। (Shashi Tharoor)
আগাগোড়া কংগ্রেসি তারুরের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সংঘাত এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর, নেতৃত্বের সমালোচনা করে যে ২৩ জন নেতা চিঠি দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধীকে, সেই তালিকায় নাম ছিল তাঁর। এর পরও কংগ্রেসের টিকিটে ফের তিরুঅনন্তপুরম থেকে জয়ী হয়েছেন তারুর। এমনকি কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়েও একসময় শামিল ছিলেন। (Congress News)
সেই তারুরের সঙ্গে সম্প্রতি ফের সংঘাত দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের। সম্প্রতি মোদির প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। কেরলে পিনারাই বিজয়ন নেতৃত্বাধীন LDF সরকারেরও প্রশংসা করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিতে দেখা যায় তারুরকে। আবার পিনারাইয়ের হাতে কেরলের অর্থনীতি এগিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারুর। কেরলের কংগ্রেসের সংগঠনে খামতির দিকগুলিও তুলে ধরেন।
সেই নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষের সুর ধরা পড়ে। আর সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেই জল্পনা বাড়ালেন তারুর। তাঁর কথায়, "আমি সবসময় দলের সঙ্গে আছি। দল ব্যবহার করতে চাইলে ভাল। না চাইলে, আমার নিজের কাজ আছে। আমার অন্য উপায় নেই ভাবলে ভুল হবে। বই আছে, বক্তৃতা আছে, পৃথিবীর বহু জায়গা থেকে আমন্ত্রণ আছে।"
সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পোস্ট করেন তারুর। টমাস গ্রে-কে উদ্ধৃত করে লেখেন, 'যেখানে অজ্ঞতাই আনন্দ, সেখানে জ্ঞানী হতে চাওয়া মূর্খতা'। যদিও দলবদলের জল্পনা খারিজ করে দিয়েছেন তারুর। তাঁর সাফ কথা, রাজনীতিতে মতবিরোধ হতেই পারে। কিন্তু দলবদলের রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই একেবারে।
তবে এসবের মধ্যেই ১৮ ফেব্রুয়ারি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন তারুর। একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। কেরলে দলের সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে কি না, তা যদিও খোলসা করেননি তারুর। মোদি এবং পিনারাইয়ের প্রশংসা করা নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না, তাও জানাননি। বরং তাঁর মতে, মোদির প্রশংসা করেননি তিনি। দেশের স্বার্থের কথা বলেছেন মাত্র। সবসময় নিজের দলের কথাই বলতে হবে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি। কেরলের পরিযায়ী শ্রমিক, বেকারত্ব নিয়ে যত কথা বলেছেন গত ১৬ বছরে, তাও স্মরণ করিয়ে দেন।