নয়াদিল্লি: ২০১৯-এর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপক হিসাবে ঘোষিতদের মধ্যে রয়েছেন শশী তারুর। ‘অ্যান এরা অব ডার্কনেস’ বইয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন। বুধবার এ বছরের এই বিরাট সম্মানবাহী খেতাবের জন্য ২৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। অকাদেমির সচিব কে শ্রীনিবাসরাও এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই পুরস্কারের সুপারিশ করেছেন ২৩টি ভারতীয় ভাষার প্রতিনিধিত্বকারী বিশিষ্ট জুরি সদস্যরা, তা অনুমোদন করেছে সাহিত্য অকাদেমির এক্সিকিউটিভ বোর্ড। আজ অকাদেমির সভাপতি চন্দ্রশেখর কাম্বারের পৌরহিত্যে বোর্ড বৈঠকে বসেছিল।
কংগ্রেস নেতা, তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ তারুর ক্রিয়েটিভ নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে (ইংরেজি) এই পুরস্কার পাচ্ছেন। আত্মজীবনী, জীবনীমূলক রচনার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার পাচ্ছেন যথাক্রমে বিজয়া (কন্নড়) ও সেফি কিদোয়াই (উর্দু)।


ট্যুইটারে এই পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন পাচ্ছেন তারুর। সাংবাদিক তভলিন সিংহের অভিনন্দন ট্যুইটের প্রতিক্রিয়ায় তারুরের প্রতিক্রিয়া নজর কাড়ার মতো। তভলিন তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের নীতির বিরোধিতা, প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান না করেন। জবাবে তারুর লেখেন, আপনাকে ধন্যবাদ। বলতে গেলে গতবার পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের হিড়িকের মধ্যে যে গুটিকয়েক উদার রাজনৈতিক মানুষ এমনটা না করার আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমিও ছিলাম। এই পুরস্কারের সঙ্গে ক্ষমতাসীন সরকারের কোনও সম্পর্কই নেই। এটা গোটা সাহিত্য সমাজের তরফে প্রখ্যাত জুরিদের অর্পণ করা শ্রদ্ধা, সম্মান।

তারুর ছাড়াও নাট্যকার নন্দ কিশোর আচার্য তাঁর হিন্দি কবিতার বই চিল্লাতে হু আপনে কো-র জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।