ঢাকা: ক্ষমতা হারিয়ে দেশছাড়া হতে হয়েছে আগেই। এবার আরও বিপাকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল। বাংলাদেশের একটি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের হত্যা মামলায় এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। হাসিনা ছাড়াও আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। (Sheikh Hasina)
বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনালের মুখ্য কৌঁসুলি মহম্মদ তাজুল ইসলাম হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে তাঁকে আদালতে হাজির করতে হবে।" গণহত্যা মামলায় আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। (Bangladesh News)
জোরপূর্বক গায়েব করে দেওয়া, খুন, গণহত্যার ভূরি ভূরি মামলা জমা পড়েছে বাংলাদেশের আদালতে। হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামি লিগের নেতাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ উঠেছে। হাসিনার দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনকালে মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যাপক ধরপাকড়, বিনা বিচারে বন্দি করে রাখা এবং বিচার বহির্ভূত ভাবে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। (Sheikh Hasina Arrest Warrant)
তাজুলের কথায়, "জুলাই থেকে অগাস্ট মাসে যাঁরা গণহত্যা, খুন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের মাথায় হাসিনার হাত ছিল।" তাই আদালতের নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই যে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন হাসিনা, তার পর থেকে আর দেখা মেলেনি তাঁর। ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় তিনি এবার সর্বসমক্ষে আসবেন কি না, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তাজুল জানিয়েছেন, 'অপরাধী'দের অনেকে এখনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তাই অনেকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। প্রভাবশালীদের গ্রেফতার না করা গেলে, তদন্ত পরিচালনা করা কঠিন হবে বলে আদালতে জানানো হয়েছিল। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইবুনালের কাছে দু'টি পৃথক আবেদন জমা পড়েছিল, একটি ছিল, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে বাংলাদেশ জুড়ে চলা হত্যাকাণ্ড নিয়ে। অন্য়টি, কাদের-সহ তদানীন্তন মন্ত্রিসভার ৪৫ জবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন।