ঢাকা: বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে ২১১ জনের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীর দাবি, এখনও পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর হিসেব পেয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় নিজের বাসভবনে নিহতদের একাংশের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর্থিক সাহায্যও দেন। (Sheikh Hasina)


রবিবার ঢাকায় হাসিনার সরকারি বাসভবনে পৌঁছন আন্দোলনে নিহত একাংশের পরিবারের লোকজন। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, আজ মোট ৩৪টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন হাসিনা। নিহতদের পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের সান্ত্বনা জোগান হাসিনা। (Bangladesh Anti Quota Protests)


'প্রথম আলো' জানিয়েছে, হাসিনার সামনে ভেঙে পড়েন শোকার্ত পরিবারের মানুষগুলি। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে হাসিনা বলেন, "আমাকে দেখুন। আমিও অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা আমিও বয়ে চলেছি। আমি লাশটাও দেখতে পাইনি, কফন-দফনও করতে পারিনি আমি। দেশে আসতে দেওয়া হয়নি ছ'বছর। আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি। আমার দুর্ভাগ্য যে আপনাদের চোখের জল ফেলতে দেখতে হচ্ছে আমাকে।" এর পর নিহতদের পরিবারের হাতে অর্থসাহায্য তুলে দেন তিনি। 


আরও পড়ুন: US Presidential Election: হ্যারিসের পাশে বারাক ওবামা, ফোনে কমলাকে বিশেষ বার্তা বারাক-পত্নীর


এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, ধাপে ধাকে কার্ফু শিথিল করা হচ্ছে বাংলাদেশে। কিন্তু সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, আহতরা চিকিৎসার জন্য এখনও ভিড়ছেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান জানার উপায় নেই। হাসপাতালগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থা যোগাযোগ করলেও, তথ্য দেওয়া নিষেধ রয়েছে বলে জানায় তারা।


বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০০-এর কাছাকাছি মানুষ আহত বলে জানা গিয়েছে। তবে কার্ফু পুরোপুরি উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই এখনই। কারণ শনিবারই সরকার জানায়, আরও আটদিন কার্ফু চলবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কার্ফু তোলার উপায় নেই বলে জানায় তারা। ইন্টারনেট এবং মোবাইল নেটওয়র্কও পুরোপুরি ফেরানো হয়নি। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। ৬০০০-এর বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর, যাঁদের অধিকাংশই প্রধান বিরোধী দল BNP-র সঙ্গে যুক্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে তারা।