মুম্বই: রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রধান নৃত্যগোপাল দাশ সংক্রমিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন তুলল শিবসেনা। দলীয় মুখপত্রে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এ বার কি প্রধানমন্ত্রী কোয়রান্টিন নিয়ম মেনে চলবেন? গত ৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে নৃত্যগোপালের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। তার কয়েকদিন পর রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রধানের করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসে।
শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে,“৭৫ বছরের নৃত্যগোপাল রামমন্দিরের ভূমিপুজোর দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সেদিন তিনি মুখে মাস্কও পরেননি। ওই দিনই তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। নৃত্যগোপালকে শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতও ধরে ছিলেন। ফলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও কোয়ারান্টিনে যাওয়া দরকার।”
শিবসেনা মুখপত্রে আরও লেখা হয়েছে, “অমিত শাহ করোনা আক্রান্ত হয়ে ওঠার পর এখন আইসোলেশনে রয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও কোভিড পজিটিভ। তাঁর অবস্থা উদ্বেগজনক। মন্ত্রী, আমলা, সাংসদরা ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছেন। যুদ্ধ বা হিংসার সময়ে দিল্লিকে এতটা ভয়ে থাকতে দেখিনি। দিল্লি এবার যেন একটু বেশি সন্ত্রস্ত। মোদি ও অমিত শাহকে নিয়েও ভয় বাড়ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সম্পর্কে হতাশাজনক ভয় আরও ভয়ঙ্কর।.”
৫ অগস্ট রামমন্দিরের ভূমি পুজো ও শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ছিলেন এক মঞ্চে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মোট ১৭৫জন অতিথি।
ভিড় কমাতে আদিত্যনাথ ছাড়া আর কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরকে যেন আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেজন্য সরব হয়েছিলেন দলীয় বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েক। রামমন্দির নিয়ে উদ্ধব কতটা উদগ্রীব ছিলেন, তাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকা হয়নি শিবসেনা প্রধান তথা উদ্ধব ঠাকরেকে।