নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট করে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের কটাক্ষ করলেন নিতিন গডকরী। বললেন, সুবিধাবাদই ওদের জোটের ভিত্তি। তিনটি দল একজোট হয়েছে শুধুমাত্র বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই। সত্যিই ওদের সরকার হবে কিনা, আমার ঘোর সন্দেহ আছে। যদি হয়ওবা, তা ৬ থেকে আট মাসের বেশি টিঁকবে না। মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনা জোট ভেঙেছে নভেম্বরের গোড়ায়। আড়াই বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগি করার শিবসেনার দাবি মানতে চায়নি বিজেপি। বিজেপির হাত ছেড়ে শিবসেনা কংগ্রেস-শিবসেনা জোটে ভিড়েছে। আজ রাঁচিতে আসন্ন ঝাড়খন্ড বিধানসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গডকরী বলেন, ভিন্ন আদর্শ নিয়ে চলা এই দলগুলির হাত মেলানোর একমাত্র উদ্দেশ্য বিজেপিকে ঠেকানো, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কটাক্ষের সুরে তিনি আরও বলেন, ক্রিকেট, রাজনীতিতে যা কিছুই ঘটতে পারে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি শিবসেনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থনে বোঝাপড়া করে ফেলেছে, শনিবারের মধ্যেই তিন দলের মধ্যে ক্ষমতা বন্টন সূত্র চূড়ান্ত হতে চলেছে বলে খবর।
শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির সরকার গঠনের প্রয়াস ভেস্তে গেলে বিজেপি সরকার গঠনের চেষ্টা করবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে গডকরী জানান, তাঁদের দল তেমন পরিস্থতিতে আগামীদিনের কৌশল-পন্থা স্থির করবে। ‘হিন্দুত্ব’ই বিজেপি-শিবসেনা জোটের ভিত্তি বলেও দাবি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী পদ পালা করে ভাগাভাগি করতে হবে, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের এই দাবি প্রসঙ্গে গডকরীর বক্তব্য, তিনি খোঁজ করে দেখেছেন, এটা সত্যি নয়। দলের সভাপতি ও অন্যদের বক্তব্য অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দলের অবস্থান পরে ঠিক হওয়ার কথা, কিন্তু ঘটনাবলী দুর্ভাগ্যজনক মাত্রা পেয়েছে।
যে দলের পক্ষে জনমতের পাল্লা বেশি ভারী, তাদের থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত বলে সওয়াল করেন গডকরী। এও বলেন, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেটা স্থির করবেন দলের মহারাষ্ট্র শাখা সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি।