নয়াদিল্লি: দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে (Delhi Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Poonawalla) একাধিক ক্রাইম ঘরানার সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ (Crime Movies and Web Series) দেখতেন বলে জানাচ্ছেন। তাঁর 'ওয়াচলিস্ট'-এ ছিল 'ডেক্সটার' (Dexter), যা তিনি এই ঘটনা ঘটানোর আগেই দেখেছিলেন। খবর মিলেছে দিল্লি পুলিশ সূত্রে।
ক্রাইম ঘরানার ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা দেখতেন আফতাব
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ একটি ৬ মাস পুরনো হত্যাকাণ্ডের সমাধান করেছে। ২৮ বছর বয়সী আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে তাঁর প্রেমিকাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে ফেলার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। দিল্লির একাধিক জায়গায় বান্ধবীর দেহাংশের নিষ্পত্তি ঘটায় বলেও দাবি পুলিশের।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা অভিযুক্ত আফতাব। শনিবার তাঁকে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয় এবং ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আধিকারিকদের কথায়, মৃতা শ্রদ্ধা ওয়াকারের (২৭), প্রেমিক আফতাবের সঙ্গে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, 'মুম্বইয়ে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুই জনের। তিন বছর ধরে তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন এবং দিল্লিতে এসে থাকতে শুরু করেন। দিল্লিতে চলে আসার পরই শ্রদ্ধা ওই যুবককে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।'
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে 'দুইজনের মধ্যে প্রায়ই বিয়ে নিয়ে সমস্যা হত এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেত। ১৮ মে-র এই নির্দিষ্ট ঘটনায় নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে যুবক। অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে প্রেমিকার দেহ টুকরো করে এবং আশেপাশে ছত্রপুর এনক্লেভের জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলে দিয়ে আসে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।'
সূত্রের খবর, শ্রদ্ধার আগেও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্তের। শ্রদ্ধাকে খুন করার আগে সে একাধিক ক্রাইম সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ দেখেছিলেন, যার মধ্যে আমেরিকান ক্রাইম ড্রামা সিরিজ 'ডেক্সটার'ও ছিল।
তদন্তের শুরুর দিকে, মৃতার শেষ লোকেশন পাওয়া যায় দিল্লিতে। তার ওপর ভিত্তি করেই মামলাটি দিল্লি পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: Delhi News: প্রেমিকাকে ৩৫ টুকরো, ৬ মাস পরে পুলিশের জালে প্রেমিক, দিল্লির ঘটনায় তোলপাড়
জানা গেছে, প্রেমিকার দেহাংশ রাখার জন্য একটি ফ্রিজও কেনে অভিযুক্ত। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় দেহের একাধিক অংশের নিষ্পত্তি করতে শুরু করে সে। আগামী ১৮ দিন ধরে রাতের অন্ধকারে এই কাজ করে সে। সূত্রের খবর, আফতাল প্রত্যেকদিন সেই ঘরেই ঘুমোতেন, যেখানে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে রেখেছিলেন। প্রত্যেকটা টুকরোর নিষ্পত্তি করার পর ফ্রিজটা পরিষ্কারও করে সে।
অভিযুক্তের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ বেশ কিছু হাড়ের নমুনাও জোগাড় করেছেন। শরীরের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।