রাজ্যের মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, বীরভূমের গরম হাওয়া মঙ্গলকোটকে গরম করুক আমি চাই না। পাল্টা তোপ দেগেছেন অনুব্রত মণ্ডলের। এদিন, তিনি বলেন, পাগল ছাগলের দল। ওর সম্পর্কে মন্তব্য করলে ওর গুরুত্ব বেড়ে যাবে।
ঠিক কী থেকে দ্বন্দ্ব?
মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রামের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল সূত্রে খবর, সিদ্দিকুল্লা বিধায়ক হলেও, মঙ্গলকোটে দলের সব সাংগঠনিক বিষয়েই অনুব্রতর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আর এখানেই তাঁকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কথায় , বক্সী জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে কাজ করার কথা। একসঙ্গে কাজ করা উচিত। কিন্তু হচ্ছে না। সেদিনের কথা মানা হয়নি। রাতের অন্ধকারে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা আর সিদ্দিকুল্লাকে লালচোখ দেখানো যাবে না। যেখানেই যাচ্ছি পরে তাদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের একাংশ। সাড়ে চার বছর ধরে সহ্য করে আছি। সহ্যের একটা সীমা আছে। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তাদের সাবধান হওয়া উচিত। চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা আমার কাছে কঠিন নয়। এতে দল ও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ পুড়ছে। আমার লোকেদের চোখ রাঙানো বরদাস্ত করব না। রোজ যাব। চাইলে ৫০০ গাড়ি নিয়ে মিছিল করতে পারি।
এরপরই আসরে নামেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, পাগল ছাগলের দল। ওর সম্পর্কে মন্তব্য করলে ওর গুরুত্ব বেড়ে যাবে। তার ওর সম্পর্কে কোনও কথাই বলতে চাই না। তবে এই প্রথম নয়। গত ২৪ নভেম্বরও অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেন, অনুব্রতর অনুগত হয়ে কাজ করতে পারব না । মঙ্গলকোটে আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ওঁর মেজাজ চিনি, জানি। গত নির্বাচনে ওঁদের ভূমিকা এলাকার মানুষ দেখেছেন। ওই ঝুঁকি নিয়ে হাত পোড়াতে যাব না। উনি বড় খেলোয়াড়, আমি তেমন খেলোয়াড় নই। শাসকদলের দুই নেতার এই তরজায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।