নয়াদিল্লি: বিদেশ বিভুঁইয়ে ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষ বাড়ছে বলে লাগাতার খবর উঠে আসছে। সেই আবহেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল ব্রিটেনে। সেখানে এক শিখ মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করাও হয় মহিলার প্রতি। নিজের দেশে ফিরে যেতে বলা হয় তাঁকে। বেশ কিছু দিন ধরেই ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠে আসছে একাধিক দেশ থেকে। এই ঘটনা তাতে নয়া সংযোজন। (Sikh Woman Assaulted in UK)

ব্রিটেনের ওল্ডবারি শহরে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৮.৩০টা নাগাদ টেম রোডের কাছে ওই মহিরা উপর চড়াও হয় দুই দুষ্কৃতী। সেখানকার পুলিশ এই ঘটনাকে ‘বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ’ হিসেবে দেখছে। দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেউ খোঁজ পেলে জানাতে বলা হয়েছে পুলিশকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, ফরেন্সিক তদন্তও চালাচ্ছে পুলিশ। (Racial Attacks on Indians)

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তই শ্বেতাঙ্গ। একজনের মাথা কামানো। গাঢ় সোয়েটশার্ট পরে ছিল সে। অন্য জনের পরিধান ছিল ধূসর। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন স্থানীয় শিখরা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে, বর্ণবিদ্বেষ থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। পুলিশ জানিয়েছে, মানুষের ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এলাকায়।

ব্রিটেনের সাংসদ প্রীত কৌর গিল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। চারিদিকে বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা যেভাবে বেড়ে চলেছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “অত্যন্ত হিংস্র ঘটনা, বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ এটা। ওঁকে বলা হয়েছে যে এখানে জায়গা নেই ওঁর। উনি এখানেই থাকবেন। শিখ-সহ সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপদে থাকার অধিকার আছে, প্রত্যেকের সম্মান, মূল্যবোধ নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার আছে। বর্ণবিদ্বেষ ও নারীবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই ব্রিটেনে।”

 

এই ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য’, ‘বর্ণবিদ্বেষী’, ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে উল্লেখ করেছেন আর এক সাংসদ জস আঠওয়াল। তাঁর বক্তব্য, “বর্ণবিদ্বেষ যেভাবে বেড়ে চলেছে, এই হামলার তারই ফলশ্রুতি।” কয়েক দিন আগেই রেলস্টেশনের বাইরে দুই প্রবীণ শিখকে হেনস্থা করা হয়। মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি লাথি মারা হয় তাঁদের।