নয়াদিল্লি: নতুন করে করোনার প্রকোপ দেখা দিয়েছে দেশে। নয় নয় করে সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩০০০-এর কোটা। ফের গৃহবন্দি হওয়ার ভাবনা যখন উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে, সেই আবহেও আশা জোগাচ্ছে ভারতের একটি রাজ্য। গত কয়েক দিনে দেশের বাকি সব রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও, সিকিমে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্য়া শূন্য। (COVID-19 in India)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্য়ান অন্তত এমনই ছবি তুলে ধরছে। শনিবার পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩৩৯৫। অথচ গত ২২ মে পর্যন্ত দেশে সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২৫৭। অর্থাৎ সংক্রমণে প্রায় ১২০০ শতাংশ বৃদ্ধি চোখে পড়ছে। শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে নতুন করে ৬৮৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন চার জন। (Novel Coronavirus
দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৩৬, মহারাষ্ট্রে ৪৬৭, দিল্লিতে ৩৭৫, গুজরাতে ২৬৫, কর্নাটকে ২৩৪, পশ্চিমবঙ্গে ২০৫, তামিলনাড়ুতে ১৮৫, উত্তরপ্রদেশে ১১৭। এমনকি পুদুচ্চেরীতেও ৪১ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হরিয়ানায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২৬। এতকিছুর মধ্যেও সিকিমে সংক্রমিতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত শূন্য।
এখনও পর্যন্ত সিকিমে যে একজনও সংক্রমিতের হদিশ মেলেনি, তা যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৬ জন করোনা রোগী মারা গিয়েছেন।
নতুন করে করোনার যে প্রকোপ দেখা দিয়েছে, তার জন্য COVID-19-এর সাব ভ্য়ারিয়েন্ট LF.7 এবং NB.1.8.1-কে দায়ী করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা (WHO). সংক্রমণ লাগাতার বৃদ্ধি পেলেও, এই দুই প্রজাতির হানা ততটাও বিপজ্জনক নয় বলে আপাতত মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে কোমর্বিডিটি থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। বর্তমানে বাজারে যে টিকা রয়েছে, তা নয়া প্রজাতিকে প্রতিহত করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে নয়া এই দুই প্রজাতিকে নিয়ে গবেষণা চলছে।
এই মুহূর্তে যাঁরা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাঁদের উপসর্গ সাধারণ ফ্লু-র মতোই। জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যথা, ক্লান্তি দেখা যাচ্ছে। সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা, অক্সিজেন, টেস্টিং কিট এবং টিকার ব্যবস্থা করে রাখাতে গিয়েছে নির্দেশ।। যাঁজের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভিড় এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে।