কটক: জন্মগতভাবে চামড়ার রোগে ভুগছিল সে। সেটাই ছিল অপরাধ। একঘরে করা হয়েছে ৭ বছরের দলিত শিশু এবং তার পরিবারকে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, শুদ্ধিকরণও করা হয় ওড়িশার বাসিন্দা শিশুটিকে।


নেভোমেলোনোসাইটিক নেভাসে ভুগছে ওই শিশু, যা মূলত ত্বকের সমস্যা। এই রোগে সারা দেহে কালো দাগ হয়েছে। আর তাই তাকে এবং তার পরিবারকে একঘরে করে দেয় গ্রামবাসীরা।


জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে এই ঘটনা ঘটে। ওড়িশার বাঘুয়া গ্রামের জগন্নাথ প্রসাদ ব্লকের ঘটনা। গ্রামে থাকার জন্য ওই শিশুর বাবার থেকে ১০ হাজার টাকা দাবিও করা হয়। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা দাবি করে গ্রামে থাকতে গেলে শুদ্ধিকরণ এবং গ্রামবাসীদের খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করতে হবে।


 জন্মগতভাবেই ওই রোগে আক্রান্ত শিশুটি। ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে পরিবার। এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসা শুরু হয় শিশুর। কিন্তু পরবর্তী ধাপে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ ছিল না। ফলে শিশুর শরীরের ওই অংশে সেপটিক হয়ে যায়। আর তাতেই সমাজচ্যুত হয় সে এবং তার পরিবার। ওই রোগকে ‘অশুভ’ তকমা দেয় গ্রামবাসীরা।


 জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভঞ্জনগর সাব কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করেছে ওই শিশুর পরিবার। তাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ওই শিশুর চিকিৎসার জন্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও এই ধরনের ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শুধুমাত্র ত্বকের সমস্যায় কেন সমাজবিচ্ছিন্ন হবে শিশুটি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেনই বা ত্বকের সমস্যার জন্য শুদ্ধিকরণ করা হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।