কলকাতা: ২০১৭ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে চালু হয়েছে সাহিত্য চর্চা নামে একটি বই। বাংলা সাহিত্য সংকলনের এই বইটি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য।

২০২০ সালের এপ্রিল সংস্করণে বইটি পৌঁছে গেছে স্কুলে স্কুলে। সরকারি সূত্রে খবর, স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও বইটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের হাতে। সেই সরকারি বইয়ের কয়েকটি তথ্যই শিক্ষামহলে বিতর্ক তৈরি করেছে।


১৫৬ পাতায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য কর্মের কথা বলতে গিয়ে, তাঁর গল্পের নাম লেখা হয়েছে ‘অসতী মামী’। যদিও গল্পের নাম অতসী মামী।


লেখক পরিচিতি অংশে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সৃষ্টির কথা লিখতে গিয়ে লেখা হয়েছে, ‘ভূতের ব্যাগার’। শিক্ষাবিদরা বলছেন, কবির বইয়ের প্রচ্ছদের বানান ভূতের বেগার।


এমনকী, অভিযোগ উঠেছে, রবীন্দ্রনাথের রূপনারানের কূলে কবিতায় দু’রকম বানান। কোথাও হাইফেন আছে, কোথাও হাইফেন নেই।


বইয়ের এই সব তথ্য নিয়ে সরব শিক্ষক থেকে শিক্ষাবিদদের একাংশ। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহকারী সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, এ বইগুলো স্কুলে পৌঁছে গেছে। সিলেবাস কমিটি সাদা হাতি পোষা। কোনও রাজ্যে এমন সিলেবাস কমিটি নেই। বইয়ে ভুল তথ্য রয়েছে।



শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের জানান, সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কারণ, ভুল তথ্য ছেলেমেয়েরা শিখবে। লেখক পরিচিতিতে কোনও বর্ণানুক্রম নেই। রবীন্দ্রনাথের আগে শক্তি চট্টোপাধ্যায়।


বইটির প্রকাশক রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ অবশ্য এর দায় নিতে নারাজ। সংসদের বক্তব্য, বইয়ের বিষয়টি দেখে বিশেষজ্ঞ কমিটি। কোথাও ভুল আছে কী ভুল নেই, তা তারাই বলতে পারবে।


এই বই তৈরির দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যানের দাবি, এটা ছাপার ভুল। মূল পাঠ্যপুস্তকে ভুল নেই। যে দু’একটি ছাপার ভুল আছে তা সংশোধন করা হয়েছে।


যদিও যে বইকে গিরে এই তথ্য বিতর্ক সেটির সর্বশেষ সংস্করণ চলতি বছরের। যেখানে রয়ে গেছে ভুলগুলি। তাহলে কী সংশোধন করে ফের নির্ভূল বই পাঠানো হবে স্কুলে?


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI