নয়াদিল্লি: বর্ষশেষের মুখে বরফের দেখা মিলল কাশ্মীরে। রাতভর তুষারপাত কাশ্মীর উপত্যকায়। বরফের জন্য প্রভাব পড়েছে শ্রীনগর বিমানবন্দরের বিমান চলাচলও।
উপত্যকার সমতলে মরসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে। শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে বরফ জমে গাড়ির যাতায়াতও ব্যহত হয়েছে। পরে বিআরও-এর তরফে বরফ সরানো হয়। কাশ্মীরের সমতল এলাকায় হালকা তুষারপাত হলেও। উপরের এলাকায় মাঝারি তুষারপাত হয়েছে। বহুদিন পরে বরফ পড়ায় উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে পর্যটকদের মধ্যেও।
কাশ্মীরের গান্ধেরবাল জেলায় সোনমার্গে ২০ ইঞ্চির তুষারপাত হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার গুলমার্গ জেলায় সাত ইঞ্চির তুষারপাত হয়েছে। তুষারপাত হয়েছে শ্রীনগরেও, সেখানে দেড় ইঞ্চির তুষারপাত হয়েছে। পহলগামও ঢেকেছে তুষারে। কুপওয়ারায় তুষারপাতের পরিমাণ প্রায় আট ইঞ্চি। পহলগাম, সোনমার্গ, গুলমার্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যেরও বেশ কিছুটা নীচে ছিল।
উপত্য়কার উপরের দিকে ভারী তুষারপাত হয়েছে। সীমান্তে গুরেজ সেক্টরে তুষারপাতের পরিমাণ ১২ ইঞ্চির মতো। রাজদান পাসে তুষার পড়েছে ১৮ ইঞ্চি। জোজিলা পাসে তুষারপাতের পরিমাণ আরও বেশি। তুষারপাতের কারণে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল মুঘল রোড।
কাশ্মীরে এখন চিল্লা-ই-কালান (Chilla-i-Kalan) চলছে। এই সময়টা প্রবল শীতের কামড় থাকে উপত্যকায়। এই সময়েই ভারীমাত্রায় এবং প্রায়শই তুষারপাত হয়ে থাকে। ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এই পরিস্থিতি। চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে ঠান্ডার কামড়। জম্মু-কাশ্মীরে রামবান জেলায় পানিটপে নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। প্রবল ঠান্ডা ওই এলাকায়। এদিন তুষারে ঢেকে গিয়েছিল লেহ-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। সেখানে বরফ সরাতে কাজ শুরু করে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। যন্ত্র নামিয়ে সরানো হয় বরফ।
ঘন কুয়াশা:
উপত্যকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে। তার ফলে প্রায় তলানিতে নেমেছিল দৃশ্যমানতা। শ্রীনগরে বিমানবন্দরে সকালের দিকে বিমান ওঠানামায় সমস্যা হয়েছে।
খুশি পর্যটকরা:
বর্ষশেষের এই সময় পর্যটক দেখা যায় কাশ্মীরে। তুষারপাতে রীতিমতো খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তুষারপাতের কারণে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: চাকা গড়াতেই তুঙ্গে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা, শেষ ২ দিনের টিকিট