নয়া দিল্লি : কেদার যাত্রার ( Kedar Yatra ) শুরু থেকেই ছিল খারাপ আবহাওয়ার সতর্কতা। সেই মতো যাত্রা শুরু হতে না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চলছে তুষারপাত। ফলে তীর্থদর্শনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন আবহাওয়া।


অপেক্ষা আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার


তুষারশুভ্র পাহাড়ে অবিরত ঝরছে বৃষ্টি । অন্যান্য বছর সাধারণত এই সময়টা  ভারী তুষারপাত হয় না। কিন্তু এবার কেদারের দরজা খুলে যাওয়ার পরও তুষারপাত থামার নামই নেই। রীতিমতো সমস্যায় যাত্রীরা।  পুণ্যার্থীদের ফের একবার বিশেষভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আপাতত বড় বিপদ এড়াতে কেদারনাথের পথে এগোতে দেওয়া যাবে না তীর্থযাত্রীদের। অপেক্ষা আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার। জানা গিয়েছে, রাস্তায় ৩ থেকে ৪ ফুটের বরফ জমে গিয়েছে এখনই । সকাল সাড়ে ১০টার পর শোনপ্রয়াগ থেকে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত


এর আগেও প্রকৃতির ভয়াল রূপ দেখেছে কেদার। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ছারখার করে দিয়েছিল শিবক্ষেত্রকে।  হিমালয় পর্বতমালার এই ঢালে টানা বৃষ্টি চলছে। আগামী দিনে আরও ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে তীর্থে এগনো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে, আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। 


আপাতত তাই বন্ধ কেদারযাত্রা। এরকম আবহাওয়া থাকলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বহু পুণ্যার্থীর শিবদর্শন । রুদ্রপ্রয়াগের জেলাপ্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের আর এগোতে বারণ করা হচ্ছে।  জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, যত দিন না আবহাওয়া উন্নতি হয়, ততদিন যাত্রীরা যে যেখানে আছেন, সেখানেই থামতে হবে। 


 গত ২৫ এপ্রিল কেদারনাথ যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকেই দুর্যোগের মেঘ ঘনাচ্ছিল। তুষারপাতের মধ্যেই কপাট খোলে কেদারনাথের। তার আগের দিন ডোলিতে চড়ে কেদারনাথ পৌঁছে যান মন্দিরে। ৩৫ কুইন্টাল ফুল দিয়ে মন্দির সাজানো হয়। প্রথম দিনই পুণ্যার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ হাজার। তার আগেই চারধাম যাত্রার জন্য পুণ্যার্থীদের প্রথম দলটি হরিদ্বার থেকে রওনা দেয়। তখন থেকেই বাধ সাধে আবহাওয়া। তখনই ৭ দিন প্রবল তুষারপাতের সতর্কতা জারি করেছিল উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। ফলে কেদারনাথ যাত্রার জন্য রেজিস্ট্রেশন  বন্ধ করে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন