গত রবিবার মুখোশধারী হামলাবাজদের তান্ডবে রকাক্ত হয়েছে জেএনইউ ক্যাম্পাস। তাদের হাতে আক্রান্ত, জখম হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ ৩০-এর বেশি লোকজন, যাঁদের মধ্যে শিক্ষকরাও ছিলেন। ঐশীর মাথা ফাটে, অনেকগুলি সেলাই পড়ে। হাতেও চোট পান তিনি। বামেরা হামলাকারীরা শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠনের লোকজন বলে দাবি করায় পাল্টা আরএসএস-বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির তরফে তাদের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে।
সর্বস্তরে এর ব্যাপক নিন্দা, প্রতিবাদের পাশাপাশি গত পরশু জেএনইউ চত্বরে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের যাওয়া, জখম পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সেখানে প্রতিবাদসভায় হাজির হওয়া নিয়েও জোর বিতর্ক হয়েছে। প্রতিবাদসভায় ভাষণ দেন ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমার।
দিল্লি পুলিশ রবিবারের অশান্তির তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করেছে বলে খবর। যদিও সেদিনের তান্ডবের সময় নিষ্ক্রিয় থেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের তরফে জেএনইউয়ের উপাচার্য্য জগদীশ কুমারকে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কাজকর্মের পরিবেশ পুনরুদ্ধারে সার্বিক প্রয়াস চালাতে বলা হয়েছে। তিনি অবশ্য মঙ্গলবারই পডু়য়াদের ‘অতীত পিছনে ফেলে ক্যাম্পাসে ফেরা’র আবেদন জানান। কিন্তু রবিবারের হামলা রুখতে ব্যর্থতার অভিযোগে তাঁকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিভিন্ন মহল।