নয়া দিল্লি: রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় এবার প্রকাশ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! খুনের তদন্তে নেমে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন যে, সোনম বোরখা পরে মেঘালয় ছেড়েছিলেন, যাতে কোনওভাবে তিনি ধরা না পড়ে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর যখন সোনম ও রাজা কামাখ্যায় বেড়াতে গুয়াহাটিতে পৌঁছন, সেই সময় খুনিরা ১৯ মে গুয়াহাটিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল রাজাকে গুয়াহাটিতেই হত্যা করা। কিন্তু সোনম শিলং এবং সোহরায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এরপর, তারা নোংরিয়াতে পৌঁছয়। সেখানেই রাজাকে আক্রমণ করে খুন করা হয় এবং তার মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণ পরেই তারা চলে যায়। এরপর সোনমকে বোরখা দিয়েছিলেন তিন খুনিদের একজন।
মেঘালয় পুলিশের কথায়, 'ওই বোরখার আড়ালে নিজেকে আড়াল করে গুয়াহাটি থেকে সে বাসে করে শিলিগুড়ি চলে যায়। এরপর শিলিগুড়ি থেকে সে পটনা যায়। পটনা থেকে সে আরায় বাসে করে যায়, আরা থেকে সে লখনউতে ট্রেনে করে, লখনউ থেকে সে ইনদওরে বাসে করে যায়।'
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে সেলফি তোলার আছিলায় উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলার প্ল্যান ছিল সোনমের। যাতে গোটা বিষয়টা দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা সফল হতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, এরপরই সোনম তার প্রেমিকে রাজের সঙ্গে মিলে তার তিন বন্ধুকে খুনের দায়িত্ব দেয়।
সূত্রের খবর, বিয়ের দিনই সোনমের প্রমিক রাজ, সোনমের স্বামী রাজা রঘুবংশীকে শিলংয়ের নিয়ে আসতে বলেছিল। ঠিক করা হয়েছিল শিলংয়েই খুন করা হবে রাজাকে। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের দাবি, খুনের পর নেপালে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সোনম রঘুবংশী।
প্রসঙ্গত, ১১ মে ইন্দোরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজা ও সোনম। ২০ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। ২৩ মে থেকে নবদম্পতির আর খোঁজ পায়নি পরিবার। ২ জুন মেঘালয়ের পাহাড়ি খাদে রাজার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েও সোনমের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে ৮ জুন গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে নিখোঁজ সোনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় রাজাকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী, রাজ কুশওয়াহা সহ মোট পাঁচজনকে আদালতে পেশ করে পুলিশ।