প্রসঙ্গত, বিদেশ যাত্রার আগেই কংগ্রেসে বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল ঘটিয়েছেন সনিয়া, সংসদের উভয় কক্ষেই আরও ভাল সমন্বয় রেখে চলতে বলেছেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ তোলার জন্য দলের সংসদীয় কৌশল নির্ধারণকারী গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কংগ্রেস দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গতি হ্রাস পাওয়া, মন্দা, সরকারের করোনাভাইরাস মোকাবিলার পন্থা-পদ্ধতির মতো ইস্যু তুলতে পারে।
গতকাল সনিয়া কংগ্রেসে যে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন, তার অন্যতম হল যে ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে পরিচিত শিবির গত মাসে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছিলেন, তাঁদের পদ খোয়াতে হয়েছে। যে ২৩ জন সিনিয়র নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে দলের সাংগঠনিক কাঠামো আমূল বদলের দাবি করেছিলেন, তাঁদের অঘোষিত নেতা গুলাম নবি আজাদকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁরা দলে ‘যৌথ নেতৃত্বে’র প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা ঘিরে ঘরোয়া স্তরে ব্য়াপক আলোড়ন হয়। আজাদের পাশাপাশি এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত হন মোতিলাল ভোরা, অম্বিকা সোনি, মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো প্রবীণ নেতানেত্রীরাও। নবগঠিত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির নিয়মিত সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে পি চিদম্বরম, তারিক আনোয়ার, জিতেন্দ্র সিংহ, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাকে। কর্ণাটকের দায়িত্ব দিয়ে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সুরজেওয়ালাকে।