১১ তারিখ থেকে ২১টি বাসে ৬৫০ শ্রমিককে কর্নাটক ও উত্তর প্রদেশের বাড়িতে পাঠিয়েছেন সোনু। দেখে নিন, ঠিক কীভাবে লকডাউনের মধ্যেও শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে তাঁর সাহায্যের হাত
- সোনুর ব্যবস্থা করা প্রতিটি বাস ৬০ সিটার। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের জন্য এক একটি বাসে ৩৫ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না।
- সোনু ও তাঁর বন্ধু নীতি প্রত্যেক যাত্রীর আগে শারীরিক পরীক্ষা করাচ্ছেন। এভাবে ১০,০০০-এর বেশি শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকলে তবেই বাসে ওঠা যাচ্ছে।
- পরিযায়ীদের এতদিন বাড়ি ফেরানোর জন্য ঠেলেঠুলে ট্রাকে তুলে দেওয়া হচ্ছিল। প্রত্যেকের কাছ থেকে এক একটা আসনের জন্য নেওয়া হচ্ছিল ৪,০০০-১০,০০০ টাকা করে। কিন্তু সোনুর বাসে কোনও পরিযায়ীকেই আসন কিনতে টাকা দিতে হচ্ছে না, সোনু ও নীতিই যাবতীয় খরচ করছেন। চলছে ক্রাউড ফান্ডিংও। ৮০০ কিলোমিটার সফরের জন্য পড়ছে ৬৪,০০০ টাকা। আর ১,৬০০-২,০০০ কিলোমিটার সফরের জন্য ১.৮ লাখ টাকা।
- পরিযায়ীদের তাঁদের বাড়ির দরজায় পৌঁছে দিচ্ছে বাস। নীতি গোয়েলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও অন্যান্যরা দিনরাত ধরে এই শ্রমিকদের ঠিকানা ধরে তালিকা তৈরি করছেন।
- এ ধরনের কাজ আর যাঁরা করছেন তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন সোনু-নীতি। ঠিকানা ধরে যদি দেখেন কোনও পরিযায়ী অন্য দিকে যাবেন, তবে অন্য বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাতে তাঁদের তুলে দিচ্ছেন তাঁরা। এমনকী ট্রেনেও ঝাড়খণ্ড পাঠিয়েছেন ১৫০ জনকে।
- প্রত্যেক শ্রমিককে দেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল, বিস্কুট, ফল ও পাও ভাজির মত খাবার। এমনকী যাত্রা শুরুর আগে প্রত্যেকের কাছে অন্তত এক প্যাকেট গরম টাটকা খাবার যেন থাকে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
- পথে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না হয়, তা দেখতে প্রতিটি বাসে থাকছেন ২ জন করে চালক, কিছুক্ষণ পর পর চালক পাল্টে যাচ্ছেন।