মুম্বই: অবৈধ নির্মাণ মামলায় সোনু সুদের অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার মেয়াদ বাড়াল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে আগামীকাল পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ নির্মাণের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সোনু। মুম্বইয়ের জুহুতে সোনু অবৈধ নির্মাণ করেছেন বলে নোটিশ পাঠায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএমসি। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হবে।


নোটিশে বৃহন্মুম্বই পুরসভা দাবি করেছে, জুহুতে অবস্থিত ছয় তলার শক্তি সাগর আবাসনকে কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই হোটেলে বদলে ফেলেছেন সোনু ।এই অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন অভিনেতা।বিএমসির দাবি, আবাসন হিসাবে অনুমোদিত জুহুর ওই বিল্ডিংকে আবাসিক হোটেলে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন সোনু। অথচ, এই সংক্রান্ত অনুমতি নেননি অভিনেতা। গত বছর অক্টোবরে সোনুকে নোটিশ পাঠায় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। ওই নোটিশ পেয়ে নগর দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোনু। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এদিকে বিএমসির দাবি নোটিশ পাঠানোর পরেও কাজ বন্ধ করেননি সোনু সুদ। মহারাষ্ট্র রিজিয়ন অ্যান্ড টাউন প্ল্যানিংয়ের আওতায় জুহু পুলিশকে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে বিএমসি।


 সোনুর আইনজীবী অমোঘ সিংহ হাইকোর্টের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষার দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন,বিএমসি যে দাবি করেছে, তা একেবারেই ভুল। কোনও বেআইনি বা অবৈধ নির্মাণ করেননি। তিনি সোনু যে পিটিশন দাখিল করেছেন তাতেও তিনি এই বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিএমসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, ২৪ ঘরের একটা হোটেলেক আবাসিক বিল্ডিংয়ে পরিবর্তন করা হয়। ২০১৮, ২০২০ সালে বেআইনি নির্মাণের নোটিশ পাঠিয়েছে পুরসভা। কিন্তু তারপরেও সেই কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।  তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছে পুরসভা। এদিন দুপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহান প্রশ্ন করেন, সোনু কি লাইসেন্স ছাড়াই হোটেল ব্যবসা করছেন? স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতে আসা উচিত। এর উত্তরে সোনুর আইনজীবী বলেন, হোটেল ব্যবসা করেন না। তবে তার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া আছে। সেখানে হোটেল ব্যবসা হয়।